ফ্যাসিবাদ বিদায় হয়েছে আমরা এখন নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা দেশে সুবিচার ও সুশাষন প্রতিষ্টা করতে চাই। আমরা দীর্ঘ ১৭-১৮বছর ইতিহাসের একটি কালো যুগ পার করেছি। দেশের ভাত কাপড় মৌলিক অবস্তা ধ্বংস হয়ে এক ফাসিবাদ তৈরি হয়েছিল।১৪/১৮/২৪ সালে আমরা কেউ ভোট দিতে পারিনি। ২০২৪সালে কেউ ভোট দিতে পারেনি। হাজার হাজার মানুষকে গুন করে খুন করে আয়না ঘরে পাঠানো হয়েছে । আর এই সব কিছুর মাষ্টার মাইন শেখ হাসিনা। ওনি চেয়েছিল ক্ষমতায় থাকতে ওনার দল সারাজীবন থাকবে। গত ১৫বছরের খুন গুম ও আলেমদের হত্যা সহ যে অত্যচার করা হয়েছিল তার গন বিষ্পোড়ন হয়েছে আজ । ২০০২ সালের ২৮ অক্টোবরের শেখ হাসিনার লগি বৈঠার আন্দোলন দিয়ে দেশের গনতন্ত্র শেষ করা হয়েছিল। এই সাতক্ষীরায় হাজার হাজার কর্মিকে জেলে যেতে হয়েছিল। সাতক্ষীরার ৪০জন নেতা কর্মিকে হত্যা করা হয়েছিল।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন,আমারা চেয়েছিলাম দেশে নির্দলীয় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। কিন্তু কোন একটি দল তা গোপনে মেনে নিয়েছিল।এই ফ্যাসিষ্ট হাসিনা তত্বাবধায়ক সরকার এই আইন বাতিল করতে উঠে পড়ে লেগেছিল। ওনি আদলতের ওপর বন্দুক রেখে তা বাতিল করেছিলেন।আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে সফল হয়েছি। এই কর্তৃত্ব বাদী ফ্যাসিষ্টদের বিরুদ্ধে আমারা লড়েছি।
আলেমদের হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফ্যাসিষ্ট হাসিনা তার কথিত ট্রাইবুনালে গোলাম আজম, দেলোয়ার হোসেন সাইদি, সহ বহু আলেমদের হত্যা করা হয়েছিল। সেই আদালতে ৮০বছরের বৃদ্ধরের কারাগারে ঢুকিয়ে তাদের হত্যা করা । আল্লাহ সাবাইকে ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন। গত ৫আগষ্ট তিনি পালিয়ে ভারতে পাড়ি জমালেন। জামায়ত ইসলাম সবসময় দেশের মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখেছে।
নারী অধিকার বিষয়ে তিনি বলেন নারীদের সমান অধিকার থাকবে। তারা পর্দার সহিত ইসলামের ছায়াতলে নিরাপর্তার সহিত চলাফেরা করবে।
সংখ্যালঘুদের বিষয়ে তিনি বলেন, জামায়ত ইসলামের প্রতি একটা নেগেটিভ ধারনা আছে তার নাকি মন্দির ভাংচুর করে। আমি বলতে চাই বাংলাদেশ জামায়ত ইসলামের নামে কখনও মন্দির বা প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগ নেই । হিন্দু মানে আওয়ামীলীগ তা কিন্ত নয়। হিন্দু ভাইদেরও প্রমান করতে রাস্ট্রের কল্যানের জন্য অন্য দলে ভোট দিতে পারে। আগামী দিন জামায়ত ইসলামের ছায়াতলে হিন্দু ভাইয়েরা সবচেয়ে বেশি নিরাপদে থাকবে।
সবশেষে তিনি বলেন, জামায়ত ইসলাম যে বাংলাদেশ নির্মান করতে চায় যে তা হবে শোষন ও শাষন মুক্ত। যে দেশে কোন ভাত কাপড়ের অভাব থাকবেনা। বেকাদের কাজের অভাব হবেনা। তারা প্রয়োজনে বাড়িতে বসে বেকার ভাতা পাবে।দেশের খাদ্য চিকিৎসা সহ সকল মৌলিক অধিকার অক্ষুন্ন থাকবেন। সাতক্ষীরা তালা কলারোয়ায় জ্জত উল্লাহ সেরা মেধাবী প্রার্থী হবে। আমি আপনাদের তাকে উপহার দিয়ে গেলাম। আপনারা তাকে গ্রহন করুন। আমরা যদি কল্যান রাষ্ট্র গ্রহন করতে পারি সে জন্য সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।
রবিবার (২৭জানুয়ারি) বিকালে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বলফিল্ড মাঠে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথা গুলো বলেন বাংলাদেশ জামায়ত ইসলামের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার।
তালা উপজেলা জামায়ত আমির মাওলানা মফিদুল্লাহের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠিক সদস্য মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কালাম আজাদ, আবুল বাসার উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, জেলা জামায়ত ইসলামের আমির শহিদুল ইসলাম মুকুল প্রমূখ। এসময় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত জামায়ত ইসলামের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
" বিবিসি সাতক্ষীরা "
সম্পাদক ও প্রকাশক : আব্দুল মতিন।
মেইল- bbcsatkhira@gmail.com ঠিকানা- পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ।
zahidit.com