পাটকেলঘাটায় বৃষ্টিতে এলাকার বিল খাল পানিতে ডুবে একাকার হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। ভোর থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। জীবন ও জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হয়েছেন অনেকে। সোমবার (৭ জুলাই) ও মঙ্গলবার( ৮ জুলাই ) ভোর থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে ভোর থেকেই ভারি বৃষ্টি শুরু হয়। এরমধ্যেও নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের কাজে বের হন। দোকানপাটসহ হোটেল, রেস্টুরেন্টগুলোতে মানুষের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। অনেকেই দোকান খুলে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
কাশিপুর গ্রামের গ্রামের ভ্যান চালক মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, ভোরে বৃষ্টিতে বের হয়েছি ভাড়া হয়নি, টুকটাক চালিয়ে ৮০ টাকা আয় হয়েছে।
যুগিপুকুরিয়া গ্রামের বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, আমি সকালে মাছের কাটায় মাছ পাইকারী কিনতে গিয়ে দেখি বৃষ্টির কারণে মাছ তেমন আসেনি। তাই আমিও মাছ কিনতে করিনি।
আমতলাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা দিনমুজুর মোঃ আবুল কালাম বলেন,সারাদিন বৃষ্টির কারনে কাজ হযনি কাজ না করলে আমাদের দিন চলে না।
আলফাজ মোড়ল বলেন বাজার করার জন্য বৃষ্টিতে বের হয়েছি কিন্তু বাজারে অধিকাংশই দোকান বসেনি। শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের ইজিবাইক চালক মোঃ আমিনুর বলেন, বৃষ্টিতে রাস্তায় বের হয়েছি কিন্তু রাস্তায় কোন যাত্রী নেই।
আমতলাডাঙ্গা গ্রামের তরকারি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান তরকারি বেচে আমার সংসার চলে বৃষ্টির কারনে মালামাল কিনতে বের হতে পারেনি। সারাদিন বৃষ্টি তাই কষ্টে দিন পার করছি। অবিরাম বৃষ্টির অনেক স্কুলের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃষ্টিতে ভেজা পরীক্ষার্থী তুষার ঘোষ বলেন বৃষ্টির কারনে স্যারেরা পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে। একই কথা বলেন মাহেন্দ্র চালাক মিজান।
লালচনদ্রপুর গ্রামের মুদী ব্যাবসায়ী রেজাউল সরদার বলেন, বৃষ্টির কারণে দোকানে বেচা কেনা তেমন হয়নি। লোকজন তেমন আসেনি।
চা বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন চা বিক্রি করে আমার ৫ জনের সংসার চলে বুৃষ্টির কারনে দোকান খুললেও কোন ক্রেতা নেই। এ অবস্থা কতদিন চলবে তা কে জানে।
" বিবিসি সাতক্ষীরা "
সম্পাদক ও প্রকাশক : আব্দুল মতিন।
মেইল- bbcsatkhira@gmail.com ঠিকানা- পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ।
zahidit.com