মাগুরার মহম্মদপুরে লোকজ ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নৌকা বাইচ দেখতে মধুমতি নদীর দুইপাড়ে নামে লাখো মানুষের ঢল। এ উপলক্ষ্যে দুইদিন আগে থেকেই বসেছে গ্রামীন মেলা, মানুষের দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ নানা ধরণের পণ্যের দোকান সাজিয়ে বসেছে ঝামা বাজার ও নদীর দুই পাড়ের বিশাল এলাকা জুড়ে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ঝামা বাজার সংলগ্ন মধুমতি নদীতে আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয় আনন্দঘণ ও উৎসব মূখর পরিবেশ।
এদিন সকাল থেকেই মহম্মদপুর উপজেলাসহ আশপাশের শালিখা, নড়াইল, আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নানা বয়সি মানুষ আসতে থাকে ঝামা এলাকায়। তাদের উদ্দেশ্য কাঙ্খিত সেই লোকজ ঐতিহ্য নৌকাবাইচ দুই চোখ ভরে দেখবে বলে। প্রতি বছর দুর্গাপূজার দশমির পরেরদিন এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
প্রতিযোগিতা শুরুর আগ মুহূর্তে মধুমতি নদীর দুই পাড়ে নামে দূর-দূরান্ত থেকে আসা লাখো মানুষের ঢল। তাদের উপস্থিতিতে এলাকায় সৃষ্টি হয় আনন্দঘণ ও উৎসব মূখর পরিবেশ। দুপুরে শুভ উদ্বোধনের পরপরই শুরু হয় কাঙ্খিত সেই চোখ জোড়ানো, মন মাতানো নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা।
সংগীতের তাল-লয়ে দাঁড়িয়াদের ছন্দময় দাঁড় নিক্ষেপে নদীর পানি ময়ূরপঙ্খির মতোই ঝিলমিল করে মধুমতির বুক জুড়ে। কাঁশার ঢং ঢং আর দাঁড়িয়াদের হেঁইও হেঁইও শব্দের তালে তালে উল্লাসে ফেটে পড়ে মধুমতি নদীর দুই পাড়ের আমুদে দর্শক।
মো. আছাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. মিথুন রায় চৌধুরী, এ্যাড. রোকনুজ্জামান, অধ্যক্ষ মৈমূর আলী মৃধা, অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহমান, এ্যাড. মনিরুল ইসলাম মুকুল প্রমূখ।
মো. রফিকুল ইসলামের সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মেলা কমিটি ও অতিথিরা।
" বিবিসি সাতক্ষীরা "
সম্পাদক ও প্রকাশক : আব্দুল মতিন।
মেইল- bbcsatkhira@gmail.com ঠিকানা- পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ।
zahidit.com