১৬ অক্টোবর শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবীর হোসেন'র শাহাদাৎ বার্ষিকী। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মাগুরার মহম্মদপুরবাসীর জন্য গভীর শোক ও গৌরবময় দিন।
দেশমাতৃকার প্রেমে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন এক টগবগে তরুণ। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৭১ সালের ১৬ অক্টোবর মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের জয়রামপুরে সম্মুখ যুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাদের গুলিতে শহীদ হন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবীর হোসেন। শহীদের স্মৃতি স্মরণে জয়রামপুর যুদ্ধ ক্ষেত্রে জয়রামপুর সপ্তগ্রাম সম্মিলনী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে তৈরি করা হয়েছে "মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ"।
বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি স্বরুপ ১৯৮৮ সালে উপজেলা সদরে শহীদ আবীর সাধারণ পাঠাগার নামে একটি পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়। যা এখন সময়ের বর্ষ পরিক্রমায় হারিয়ে যেতে বসেছে। হারিয়ে গেছে বীর প্রতিক গোলাম এয়াকুব আলী মার্কেট। নাম পলক নেই শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ-মহম্মদ সড়কের। এসব স্থাপনা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের নামে বিভিন্ন সড়কের নামকরণ করতে হবে। কতৃপক্ষের কাছে এটা মুক্তিযোদ্ধাদের জোর দাবী।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ ঘটিকায় মহম্মদপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড কাউন্সিলের আয়োজনে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবীর হোসেন'র শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব দাবী জানান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ (অব.) মোহাম্মদ মতিউর রহমান।
মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদমান আকিব। এ সময় বক্তব্য দেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহাব, প্রেসক্লাব মহম্মদপুরের সভাপতি আজিজুর রহমান টুটুল ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবীর হোসেন'র সহোদর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তিলাম হোসেন প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে সকল শহীদদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে তোবারক বিতরণ করা হয়েছে।
" বিবিসি সাতক্ষীরা "
সম্পাদক ও প্রকাশক : আব্দুল মতিন।
মেইল- bbcsatkhira@gmail.com ঠিকানা- পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ।
zahidit.com