শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর মৌজার আনুমানিক ৩শত একর জমির মালিকদের ৩০ লক্ষ হারির টাকা না দিয়ে জমি দখলসহ উল্টো জমির মালিকদের নামে মামলা করার প্রতিবাদে গত ১৫ জুলাই সকাল ১১টায় শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময় জমির মালিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ আবুল কাশেম মোড়ল, সিদ্দিকুর রহমান, সাইদুর রহমান, আব্দুল হালিম,ও আলম মোল্লা প্রমুখ। জমির মালিকরা বলেন, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের অতিশয় দরিদ্র এবং অসহায় বাসিন্দা হইতেছি যে গত ইং ২০০২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কালিগঞ্জ উপজেলার বন্দকাটি গ্রামের আব্দুস সাত্তার মোড়লের পুত্র এ এম এম সালাহ উদ্দীনের নিকট আমাদের স্বত্ত্ব দখলীয় প্রায় তিনশত একর জমি লিজ বা ইজারা প্রদান করি।
এসময় তিনি উক্ত জমিতে সনাতন বা সাধারণ পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে একই ব্যক্তি আধুনিক বা সেমি ইনটেনসিভ পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের আগ্রহ প্রকাশ করায় আমরা নিজেদের স্বত্ত্ব দখলীয় উক্ত সমুদয় জমি ৩০ বছর মেয়াদে ২০৪৫ সাল পর্যন্ত তার অনুকুলে লিজ বা ইজারা প্রদান করি। এসময় নুতনভাবে আমাদের থেকে জমি ইজারা বা লিজ নিয়ে তিনি শাওন ফিস প্রোডাক্ট লিমিটেড নামীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচয়ে উক্ত জমিতে ১৭৯ টি পুকুর খনন করে সেমি ইনটেনসিভ প্রযুক্তিতে চিংড়ি উৎপাদন শুরু করেন।
এসময় সঙ্গত কারনে সেখানে আবাসিক ভবন, ষ্ট্যাফ কোয়াটারসহ প্রয়োজনীয় আরও কতগুলো স্থাপনা নির্মান করে সুষ্ঠুভাবে প্রজেক্ট পরিচালনা করছিলেন তিনি। মহোদয়ের সদয় অবগিতর জন্য জানাচ্ছি যে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আমরা প্রতি বছর মৌসুম শুরুর আগেই প্রজেক্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে ইজারা বা লিজের টাকা গ্রহন করতে থাকি। একপর্যায়ে ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে প্রজেক্ট কতৃপক্ষ চাপড়া গ্রামের খোকা সাহেবের মাধ্যমে জনৈক এ এম সাইদুর রহমানকে উক্ত ব্যবসায় সম্পৃক্ত করেন এবং মালিক পক্ষের সিদ্ধান্তে তাকে প্রজেক্ট পরিচালনার দায়িত্বভার প্রদান করেন। যার প্রেক্ষিতে কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মতে সাইদুর রহমান আমাদের জমির লিজ বা ইজারার টাকা পরিশোধের দায়িত্ব গ্রহন করেন।তিনি দায়িত্ব গ্রহনের পর প্রথম বছর সঠিকভাবে আমাদের হারি বা ইজারার টাকা বুঝিয়ে দেয়া হলেও পরবর্তী ২০২১ সাল থেকে তিনি হারি বা ইজারার টাকা পরিশোধে টালবাহানা শুর করেন।
একপর্যায়ে সম্পূর্ন টাকা পরিশোধ না করে ভেঙে ভেঙে বা কর্তিতভাবে আমাদের তিনি হারি বা ইজারার মূল্য পরিশোধ করতে থাকেন। যার প্রেক্ষিতে আমাদের মধ্যকার অধিকাংশ জমির মালিকের প্রায় ২০ (বিশ) লাখের বেশি টাকা এখন পর্যন্ত উক্ত সাইদুর রহমানের নিকট বকেয়া পড়েছে। ২০২৫ সালের ৩০ জুন প্রজেক্ট কতৃপক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে সাইদুর রহমানের দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হয়েছে। অথচ তিনি উক্ত জমি প্রথম ইজারা গ্রহীতা এ এম এম সালাহ উদ্দীনের নিকট হস্তান্তর না করে বরং তা আত্মসাতের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। অতি লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা সব সময় পাহারা দিচ্ছে যাতে আমরা আমাদের জমি দখল নিতে না পারি।
গত ২৯/০৬/২৫ ইং তারিখে সাইদুর রহমান বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ (দ্বিতীয় আদালত), সাতক্ষীরা, দেওয়ানী ৭৫/২০২৫ নং মামলা দায়ের করেছেন। জনৈক মশিউর রহমানকে বাদি করে তিনি আমাদের নিরীহ এবং অসহায় ২৫৬ জন জমির মালিকের বিরুদ্ধে উক্ত মামলা দায়েরের করেছেন।
এ মতাবস্থায় আমাদের স্বত্ত্ব দখলীয় সম্পত্তি রক্ষাসহ হয়ারনীমুলক মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেতে আপনাদের লেখনির মাধ্যমে আইনী পদক্ষেপ ও সাহায্য প্রার্থনা করছি। মানববন্ধন শেষে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
" বিবিসি সাতক্ষীরা "
সম্পাদক ও প্রকাশক : আব্দুল মতিন।
মেইল- bbcsatkhira@gmail.com ঠিকানা- পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ।
zahidit.com