শ্যামনগরে পানখালি চুনা জনতা নামীয় পানি নিষ্কাশনের সুইচ গেটটি চালু রাখার দাবি এলাকার কৃষকদের, ২ হাজার বিঘা কৃষি জমি সময় কাল ধরে উক্ত জনতা ঘেরের সুইস গেট দিয়ে চুনার, পানখালী ও বনবিবিতলার বৃহত্তম এলাকার পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছে।
এছাড়া উক্ত এলাকায় বিপুল সংখ্যক কৃষি চাষীরা উক্ত গেট দিয়ে এলাকার জলাবদ্ধতার পানি নিষ্কাশন করে আসছে, ইতোমধ্যে উক্ত স্লূইজ গেটের বাহিরে নদীর অংশে চর জেগে আছে,ব্যক্তি দু একজন ডি.সি.আর বা বন্দোবস্ত নিয়েছে তিনি উক্ত চরটি বেড়ী বাঁধ দিয়ে নিচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত চরে বিপুল গাছ গাছালী কাঁটা পড়ছে ও মারা যাচ্ছে। যা পরবর্তীতে জলাবদ্ধতার জন্য আমাদের এলাকা হুমকির মুখে পড়বে।
তাছাড়া উক্ত বেড়ি বাঁধের কারণে আমরা এলাকাবাসি যে জনতা গেট দিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা অতি বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন করে এবং বর্ষা মৌসুমে এই বিশাল এলাকার পানি নিষ্কাশন হয়।
উক্ত স্লূইস গেটটি বন্ধ হয়ে গেলে তাতে এলাকার কৃষকরা বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়বে, বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে, রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে যাবে। প্রকাশ থাকে যে, পানি উন্নয়ন বোর্ড যখন বেড়ি বাঁধ নির্মান করে তখন নদীর ধার ঘেষে এলাকার অনেকের পৈত্রিক সম্পত্তি অধিগ্রহন করে নেয়। যা এখন চর সুতরাং ঐ চরে আমাদের মানবিক দাবি আছে। সব চেয়ে বড় সমস্যা এই এলাকার পানি নিষ্কাষনের কোন ব্যবস্থা নেই। সরকারি খাল নালা গুলো অনেক আগেই বন্দোবস্থ দেওয়া হয়ে গেছে।
এমতাবস্থায় উক্ত জনতা ঘেরের সুইস গেটটি বন্ধ হলে এলাকা জলাবদ্ধতা হয়ে পড়বে এবং বিপুল সংখ্যক কৃষক এবং চাষী বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে। যা এলাকায় দুর্ভিক্ষের আকার ধারণ করতে পারে।
এ বিষয়ে কৃষক গোলাম রব্বানী বলেন,আমাদের প্রাণের দাবি উক্ত গেটটি যাতে চালু থাকে এবং সংরক্ষণ করা যাই পানি নিষ্কাশনের পথ চালু থাকলে আমরা এলাকার কৃষকরা বাঁচতে পারব, কৃষক নিতাইপদ সরদার বলেন আমরা দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পেতে এই কলগেট টি ব্যবহার করিতেছি যদি এই গেটটি অপসারণ করা হয় তাহলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাব।
স্থানীয় কৃষক জগদীশ পাইক, শান্তি মন্ডল, দিনু মন্ডল, মনজুর শেখ, নেতাই সর্দার, ব্রোজেন মহালদার, উত্তম সরদার কাওসার গাজী, মানিক সরদার সহ আবদুল্লাহ আল বাকি বলেন আমরা কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে অএ এলাকায় সবজি ধান চাষ করে আসিতেছি বর্তমান সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলীয় এলাকায় এ বছর প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে এলাকায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে এই কলগেট দিয়ে আমাদের বহু লোকের পানি নিষ্কাশন হয় এই কলগেট যদি অপসারণ করা হয় তাহলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আমরা কৃষকরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাব।
এ বিষয়ে ৯ নং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বলেন কৃষক এবং জনগণের স্বার্থে এই কলগেটটি টিকিয়ে রাখা দরকার এবং সংস্কার করাও জরুরী এলাকায় অনেক কৃষক সবজি ধান ও কাঁকড়া, মাছ চাষ করে আসছে গেটটি যদি অপসারণ করা হয় তাহলে এলাকায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হবে, ঔ এলাকার জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
" বিবিসি সাতক্ষীরা "
সম্পাদক ও প্রকাশক : আব্দুল মতিন।
মেইল- bbcsatkhira@gmail.com ঠিকানা- পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ।
""বি:দ্র: এই সাইটের কোন লেখা বা ছবি কপি করা আইনত দন্ডণীয়""
zahidit.com