সাতক্ষীরা ৩ আসনের সীমানা পূর্ণ নির্ধারণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকাল ৫ টায় আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন করিম সুপার মার্কেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে খেয়াঘাট চত্বরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি নেতা মোঃ কবির আহমেদ ঢালীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি'র নেতা জুলফিকার আলী জুলি, মোঃ খোরশেদ আলম, মাস্টার হাবিবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম বকুল, রেজাউল ইসলাম, শওকত হোসেন, মনিরুজ্জামান মনি, হাবিবুল্লাহ বাহার, রফিকুল ইসলাম সহ ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসে সারাদেশে ৩৯টি আসনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার আওতায় সাতক্ষীরার ১০৭ নম্বর আসন (সাতক্ষীরা-৪) হিসেবে শ্যামনগর ও আশাশুনি — দুটি ভিন্ন উপজেলা নিয়ে একটি সংসদীয় আসন গঠন করা হয়েছে।
শ্যামনগর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা আয়তনের দিক থেকে এবং এটি সুন্দরবনের একেবারে সন্নিকটে অবস্থিত। অপরদিকে আশাশুনি উপজেলা ভৌগোলিকভাবে শ্যামনগর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। এই দুই উপজেলার মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করে শুধু শ্যামনগরের গাবুরা ও পদ্মপুকুর ইউনিয়ন, যা খোলপেটুয়া নদী দ্বারা বিভক্ত এবং যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম খেয়ানৌকা।
বাস্তবতা হলো— আশাশুনি ও শ্যামনগরের মাঝে কোন কার্যকর সড়ক সংযোগ নেই। বরং আশাশুনির উত্তরের সীমান্ত গিয়ে মিশেছে তালা, পাইকগাছা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সঙ্গে, যার একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তের দূরত্ব প্রায় ৬০-৭০ কিমি। ফলে দুটি ভিন্ন ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উপজেলা নিয়ে একটি সংসদীয় আসন ঘোষণা জনসাধারণের জন্য ভোগান্তি ডেকে আনবে বলেই তারা মনে করেন।
" বিবিসি সাতক্ষীরা "
সম্পাদক ও প্রকাশক : আব্দুল মতিন।
মেইল- bbcsatkhira@gmail.com ঠিকানা- পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ।
zahidit.com