মুরাদ হোসেন (মাগুরা) প্রতিনিধি : মাগুরার মহম্মদপুরে শারদীয় দূর্গোৎসবের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। রং তুলির আচড়ে দেবী দূর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রুপ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভাস্কর শিল্পরা। এ বছর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১২৫টি পুজা মন্ডপে জমজমাট ভাবে পালিত হবে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা। ১ অক্টোবর ষষ্ঠী পুজার মাধ্যমে শুরু হবে ৫দিন ব্যাপি এই দূর্গোৎসব।

 

 

 

কাশফোটা শরতে শারদীয় দূর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ রুপ দিতে ভাস্কর শিল্পীরা রং তুলির আচড়ে প্রাণবন্ত করে গড়ে তুলেছেন উপজেলার বাবুখলী ইউনিয়নে ৩৭টি, বিনোদপুর ইউনিয়নে ১৩টি, দীঘা ইউনিয়নে ১৬টি, রাজাপুর ইউনিয়নে ১৫টি, বালিদিয়া ইউনিয়নে ৬টি, মহম্মদপুর সদর ইউনিয়নে ১০টি, পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নে ১৪টি এবং নহাটা ইউনিয়নে ১৪টি পুজা মন্ডপের দেবী দূর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রুপ।

 

 

 

 

৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধায় দেবীর বোধনের মধ্যদিয়ে দেবীর আগমন ধ্বনি অনুরণিত হবে। ১ অক্টোবর ষষ্ঠীতে দশভ্থজা দেবী দূর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসনের মাধ্যমে উপজেলা ব্যাপি সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে বিরাজ করবে উৎসবের আমেজ। উচু নিচু ধনী গরিব ভেদাভেদ ভুলে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একত্র করে বর্ণিল আয়োজনের মধ্যদিয়ে ঢাক-ঢোল, কাশা-বাশির আওয়াজে আনন্দঘন পরিবেশে ৫দিন ব্যাপি পালিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা উৎসব।

 

 

 

সনাতন ধর্ম মতে এ বছর দেবী দূর্গা আসছে গজে চড়ে এবং প্রস্থান করবে নৌকায় চড়ে। উপজেলা সদরের কয়েকটি পুজা মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, মৃৎশিল্পীরা তাদের মনের মধ্যে লুকায়িত মাধুর্য্য দিয়ে সেরা সৈল্পিক দক্ষতায় সুনিপূণ কারুকার্যে উদ্ভাসিত করে তুলেছে দেবী দূর্গার মমতাময়ী রুপ। বাংলা আশ্বিন মাসের ১৬ তারিখে ষষ্ঠী পূজার মধ্যমে শুরু এবং ২০শে আশ্বিন দেবী দূর্গাকে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সমাপ্ত হবে ৫দিন ব্যাপি জমজমাট এই দূর্গাপুজা উৎসব। উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী কানু তেওয়ারী বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এই উৎসবে প্রশাসন ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সর্বাত্বক সহযোগিতায় শারদীয় দূর্গাপুজা সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।

 

 

 

মহম্মদপুর থানার ওসি অসিত কুমার রায় জানান, শব্দ দূষণ মুক্ত থাকার পাশাপাশি পুজা মন্ডপকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। এছাড়াও পূজা মন্ডপে বক্সে ধর্মীয় গান ছাড়া শব্দ দূষন হয় এরকম কোনো প্রকার গান বা বাজনা বাজানো যাবেনা। তারপরেও একে অপরের সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে দূর্গাপুজা উৎসব পালন করতে সবার প্রতি আমার অনুরোধ রইলো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল জানান, যথাযথ ভাব ঘাম্বীর্যের মধ্য দিয়ে উপজেলা ব্যাপি পালিত হবে শারদীয় দূর্গাপুজা উৎসব। এই উৎসবকে ঘিরে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে। এ জন্য প্রশাসন কড়া নজরদারিতে থাকবে। তবে শান্তিপূর্ণভাবে সবাইকে উৎসব করার জন্য বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।