বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সমূহ ও তা দূরীকরণের উপায় : নাসিমা সুলতানা

আমাদের চারপাশে এমন অনেক শিশু দেখা যায় যারা স্বাভাবিক শিশুদের মতো নয়। তাদের আচার আচরণ ও দৈহিক গঠন স্বাভাবিকের তুলনায় ধীর এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ সমস্যাগ্রস্থ। এদের মধ্যে অনেকেই ভালোভাবে কথা বলতে পারে, চোখে দেখতে পায় না, হাঁটা চলা ঠিক মতো করতে পারে না। কিছু শিশু কানে ভালো শুনতে পায় না, আবার কেউ কেউ আছে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যারা বড় হয়েও শিশুদের মতো আচরণ করে, এমন শিক্ষার্থীদেরকে আমরা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী বলে থাকি।

 

 

 

আমাদের চারপাশে থাকা এ সকল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের অবশ্যই কোনো না কোনো দায়িত্ব পালন করা উচিত। প্রথমত এদের প্রতিবন্ধকতার প্রধান কারণ হলো পরিবার , যথা সম্ভব শিশুর জন্য প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে দেওয়া।

 

 

এদের বিকশিত হওয়ার আর একটি প্রধান অন্তরায় সমাজ , কারণ সামাজিক ধ্যান ধারণার উপর নির্ভর করে এইসব শিশুদের ভবিষ্যৎ। সেক্ষেত্রে শিক্ষক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব জনমত গঠনের মাধ্যমে এদের উঠে দাঁড়ানোর উপায় করে দেয়া।

 

 

 

সমবয়সীরা আর একটি প্রতিবন্ধকতা, আমি প্রায় লক্ষ্য করি সমবয়সীরা এদের যথেষ্ট বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, আমি এর প্রতিকারের জন্য তাদের ভালোবেসে বুঝতে সক্ষম হই এরা তোমার আমার সকলের বন্ধু, তুমি একে যেটা ভাবছো, সেতো তোমাকে তাই ভাবতে পারে, আমরা সকলে মিলে এদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই দেখবে এরাই একদিন কিছু করে দেখাতে পারবে।

 

কোনো বৈষম্য নয়, নয় কোনো কুসংস্কার, আসুন সবাই মিলে সহযোগিতা আর সহমর্মিতা দিয়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বেড়ে উঠাই ভুমিকা রাখি।

 

নাসিমা সুলতানা
প্রধান শিক্ষক
কাশিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
তালা সাতক্ষীরা।