এস,এম,মিজানুর রহমান শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: শ্যামনগরে হোটেল রেস্তোরা গুলোতে খাদ্য সামগ্রী নিম্ন মানের হওয়ার পরও অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভোক্তাদের অভিযোগ জানা যায়, শ্যামনগরে হোটেল রেস্তোরা গুলোতে খাদ্য সামগ্রী মান নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে না। একদিনের জ্বালানো তেল বার বার ব্যবহার করা হচ্ছে। তৈরী খাদ্য সামগ্রী দিনের পর দিন ফ্রিজে রেখে গরম করে বিক্রি করা হচ্ছে।
অন্যান্য জেলা উপজেলার তুলনায় সকল প্রকার খাদ্য সমগ্রী যেমন মাছ, মাংস, সবজি, সিংয়াড়া, ছামুচা, মোগলাই পরাটা, চপ, রুটি,পরাটা বেশী দামে বিক্রি করছে হোটেল রেস্তোরা গুলো। অন্যান্য উপজেলায় পরাটা, সিংড়া, ছামুচা, ডালপুরি, রুটি প্রতি পিছ ৫ টাকা বিক্রি হলেও শ্যামনগরে ডালপুরি ১০ টাকা, ছামুছা, রুটি, পরাটা ৭ টাকা সিংড়া ৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোগলাই পরাটা মাংশর কিমা না দিয়ে ১টা ডিম দিয়ে তৈরী করে ৫০ টাকা ও ২টা ডিমের বিক্রি করছে ৬০টাকা তা অন্য উপজেলায় ৩৫/৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
এমন অবস্থা ভাত মাংশতে আছে ওসবজির বেলায় ও অথচশ্যামনগর সদর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটা দুরের হোটেলরেস্তরাগুলো অন্য উপজেলার সাথে সমন্নয় করে বিক্রি করছে। শ্যামনগরের পল্লী বা অন্য উপজেলা থেকে আসা মানুষ খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করতে প্রতারিত হচ্ছে ।এছাড়া রাস্তা পাশ দিয়ে বিশেষ করে এম এম প্লাজার সামনে জেসি কমপ্লেক্সের সামনে বংশীপুর ষ্টান্ড, মুন্সীগঞ্জ, নওয়াবেঁকী, নুরনগর, ভ্রাম্যমান ভাজা বিক্রেতা অতি নিন্ম মানের খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করছে যা খেয়ে পেটের পীড়া সহ নানান রোগে ভুগছে মানুষ।
অন্য উপজেলার তুলনায় অতিরিক্ত মূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করার কারন জানতে চাইলে শ্যামনগের এক হোটেল মালিক বলেন, এটা আমাদের সমিতির নির্ধারিত মূল্যে। কম মূল্যে বিক্রি করলে সমিতি জরিমানা করবে তাছাড়া সব কিছু বেশী দরে কিনতে হচ্ছে তো। অন্য উপজেলা অথবা বংশীপুর, পরানপুর, নওয়াবেঁকী, মুন্সীগঞ্জ, কম মূল্যে বিক্রি করে কিভাবে জানতে চাইলে শ্যামনগরের হোটেল রেস্তোরার মালিকরা বলেন, অন্য উপজেলায় বিক্রি বেশী আমাদের এখানে কম যে কারনে একটু বেশীদরে বিক্রি করতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায় শ্যামনগর দেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা অন্য উপজেলার তুলনায় জনসংখ্যা বেশী,অনেক এনজিও সংস্থা কাজ করে কয়েকটা সরকারী অফিসের জেলা কার্যালয় রয়েছে,বিজিবির ব্যাটালিয়ান হেড কোয়াটার ,বন বিভাগের রেঞ্জ অফিস এছাড়া প্রচুর পর্যটক এখানে প্রতিদিনই আসা যাওয়া করে সে তুলনায় বিভিন্ন জিনিস পত্র খাদ্য সামগ্রী কেনা বেচাও এখানে বেশী ।
এব্যাপারে কথা হয় সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি,জাসদ নেতা,নাগরিক আন্দলনের নেতা অধ্যক্ষ আশেক এলাহী বলেন অন্য উপজেলা বা অনেক জেলার তুলনায় হোটেল রেস্তরায় খাদ্য সামগ্রীর মূল্যে অনেক বেশী মানও ভালো না ।
এব্যাপারে কথা হয় সেনেটারী ইন্সপেক্টর বিকাশ ঘোষের সাথে তিনি বলেন, আমি বলেছি মান সম্মত খাবার করে অন্য উপজেলার সাথে মিল রেখে বিক্রি করার জন্য। শ্যামনগর উপজেলা বাসীর দাবী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট, দাম ও মান নিয়ন্ত্রনে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হোক।