বিদেশ : অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভুখন্ডে ইসরায়েলি বসতির রেকর্ড সম্প্রপ্রসারণ হয়েছে। এতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যেকোনও বাস্তবসম্মত সম্ভাবনা নির্মূলের ঝুঁকিও বেড়েছে। গত শুক্রবার এসব কথা বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক ইসরায়েলি বসতি বৃদ্ধির পরিমাণ এবং সেখানে ইসরায়েল কর্তৃক দেশটির জনসংখ্যার স্থানান্তরকে একটি যুদ্ধাপরাধ বলে পুনর্ব্যক্ত করেছেন। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েল নতুন আবাসন পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর গত মাসে বাইডেন প্রশাসনও বসতিগুলো আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে ‘অসঙ্গতপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছিল। মার্চের শেষের দিকে জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন করা হবে। সেটির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একটি বিবৃতিতে তুর্ক বলেছেন, ‘বসতিবাদী সহিংসতা এবং বসতি-সম্পর্কিত সহিংসতা আশঙ্কাজনকহারে একটি নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে এবং একটি কার্যকর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যেকোনও বাস্তবসম্মত সম্ভাবনাকে নির্মূল করার ঝুঁকি রয়েছে।’ জেনেভায় ইসরায়েলের ক‚টনৈতিক মিশন বলেছে, রিপোর্টে ২০২৩ সালে ৩৬ ইসরায়েলির মৃত্যুর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ছিল। একটি বিবৃতিতে মিশনটি বলেছে, ‘মানবাধিকার সর্বজনীন, তবুও ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসের শিকার ইসরায়েলিদের হাইকমিশনার অফিস বারবার উপেক্ষা করে।’ ইসরায়েলি বসতি নিয়ে জাতিসংঘের নিজস্ব পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি অন্যান্য উৎসের উপর ভিত্তি করে ১৬ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন তৈরী করা হয়েছে। এতে ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ নাগাদ এক বছরের মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ২৪ হাজার ৩০০টি নতুন ইসরায়েলি আবাসন ইউনিটের তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। ২০১৭ সালে পর্যবেক্ষণ রেকর্ড করা শুরু করার পর থেকে এ সংখ্যাটি সর্বোচ্চ। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর নিয়মিতভাবে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এবং রাষ্ট্রীয় সহিংসতার তীব্রতা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর থেকে। আর তখন থেকে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী বা বসতি স্থাপনকারীদের হাতে ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে পশ্চিম তীর দখল করেছিল ইসরায়েল। বাইবেল অনুসারে সেই জমিতে তাদের জন্মগত অধিকারের দাবি করে সেখানে বসতি বিস্তৃত করা হচ্ছে। দেশটির সামরিক বাহিনী বলছে, পশ্চিম তীরে তারা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং সন্দেহভাজন জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তু করছে।
https://www.kaabait.com