
অসহায় এক নারীর পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর দখল করার অভিযোগ উঠেছে। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী রেনুয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে, উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন একই গ্রামের মৃত সৈয়দ রমিজ উদ্দিনের মেয়ে ঝর্ণা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর পিতার মৃত্যুর পর বাঁশতলা মৌজার ১২ নং খতিয়ানের ১১নং দাগে পিতার রেখে যাওয়া
নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমিতে ত্যাজ্য বিত্তে মালিক ও দখলকার থাকিয়া উহাতে ফসলাদি ফলাইয়া আসিতে থাকাবস্থায় “আমাদের ভ্রাতা সিরাজুল ইসলাম মৃত্যু বরন করেন। ভাই মৃত্যু কারণে তারই স্ত্রী রেনুয়ারা বেগম তাহার স্বামীর অংশে প্রাপ্ত ভূমির মালিক ও দখলকার হন। যদিও নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমি ভিপি খতিয়ানের আওতাভুক্ত। পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে ভাই বোন সবাই মালিক। সেই সুবাদে প্রত্যেক ওয়ারিশ তার পাপ্য সমান অংশে মালিক ও দখলকার থাকিয়া ফসলা ফলাইয়া আসিতেছি। ফসল ফলাইবার পূর্বে বিবাদীনি বর্ণিত ভূমিতে তাহার একক মালিকানা দাবী করিলে বিবাদীনি ও আমাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয়।
সেজন্য গতবছর উক্ত বিষয়টি স্থানীয়-চেয়ারম্যানকে অবগত করিলে চেয়ারম্যানের ডাকে না আসায় চেয়ারম্যান আমাকে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিতে বলেন। নিরুপায় হয়ে আমি গত দুই বছর যাবত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং ভূমি অফিসে সহকারী কমিশনার ভূমির কার্যালয়ে ঘোরে বেড়াচ্ছি।
ভুক্তভোগী ঝর্ণা বেগম বলেন, আমি একজন অসহায় নারী আমার পিতার মৃত্যুর পর কিছু দিন জমি ভোগদখল করে খেয়েছি।
আমার আপন ভাই সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুর পর সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী রেনুয়ারা বেগম সুকৌশলে জমি দখল করে নেয়। যেহেতু জমি ভিপি খতিয়ান ভুক্ত, রেকর্ডিয় নয়, এছাড়া জমি রেজিস্ট্রার ও হয় না, সেই সুবাদে রেনুয়ারা বেগম স্টাম্পের মাধ্যমে চড়া দামে শক্তিশালী পক্ষের নিকট জমি বিক্রি করে ফেলছে।
বিবাদী-রেনুয়ারা বেগমকে না পেয়ে বক্তব্য নিতে পারিনি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহেরু নিগার তনু বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমি জানি না এখন শুনলাম। তবে আমি বিষয় টি খতিয়ে দেখবো।