আগামী সংসদেই (স্বাস্থ্য) সুরক্ষা আইন পাস করতে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, এ নিয়ে কাজ করছি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ ডেন্টাল সার্জন্স (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদয়ন স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি এটি নিয়ে কাজ করছি। দীর্ঘদিন ধরে আমি ঢাকার বাইরে দৌড়াদৌড়ি করছি এটা নিয়ে। রমজান মাসজুড়ে আমি মিটিং করবো। অবৈধ ক্লিনিক বন্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি আগেও বলেছি সেগুলো যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে অবশ্যই সেগুলো যেন মনিটরিং করে তারপর বন্ধ করা হয়। বাংলাদেশ বিশাল জায়গা, শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করলে হবে না। সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা ইউনিয়নের নেতারাও হাসপাতালগুলো দেখবেন। যদি কোনো অসঙ্গতি পান তবে আমাদের জানাবেন, আমরা ব্যবস্থা নেবো। সতর্ক থাকায় এ বছর বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় দেশের কোনো কেন্দ্রেই কোনো নেতিবাচক কিছু ঘটার সুযোগ তৈরি হয়নি বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে দেশের অবৈধ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধে অভিযান চলমান রাখা, চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের গুরুত্ব, ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে করণীয়, তামাক আইন কার্যকর করার গুরুত্ব তুলে ধরাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। সামন্ত লাল সেন জানান, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মোট ৫০ হাজার ৭৯৫ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সরকারি মোট ৫৪৫ টি এবং বেসরকারি মোট এক হাজার ৪০৫টি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ১২টি এবং ভেন্যু ২০টি। দেশে বর্তমানে সরকারি ডেন্টাল কলেজ রয়েছে একটি; এ ছাড়া আটটি সরকারি ডেন্টাল ইউনিট রয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি পর্যায়ে মোট ২৬টি ডেন্টাল কলেজ রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে পরীক্ষা অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি। পরীক্ষা শুরুর এক মাস আগে থেকে পরীক্ষার দিন পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডিজি ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অত্যন্ত তৎপর ও সতর্ক থাকায় এ বছর বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় দেশের কোনোকেন্দ্রেই কোনো নেতিবাচক কিছু ঘটার সুযোগ ঘটেনি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, বিএমডিসি সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. বায়েজিদ খুরশিদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নেওয়াজ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
https://www.kaabait.com