স্পোর্টস: ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা এনে দিলেন সাব্বির হোসেন। অন্যরাও কার্যকর কয়েকটি ইনিংস খেললে আড়াইশ ছোঁয়া পুঁজি পেল আবাহনী লিমিটেড। যা তাড়া করতে নেমে তানভির ইসলামের স্পিনের জবাবই দিতে পারল না পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে সোমবার পারটেক্সকে ১৭১ রানে হারিয়েছে আবাহনী। শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ২৬৮ রানের জবাবে পারটেক্স গুটিয়ে গেছে স্রেফ ৯৭ রানে। বাঁহাতি স্পিনে ১০ ওভারে স্রেফ ২৬ রানে ৪ উইকেট নেন তানভির। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সাব্বিরের ব্যাট থেকে আসে ৫৯ বলে ৭১ রানের ইনিংস। সবুজ ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে টস জিতে আবাহনীকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পারটেক্স। তবে তাদের পরিকল্পনা সফল হতে দেননি সাব্বির। নাঈম শেখের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ১০৭ রান যোগ করেন তিনি। ইনিংসের শুরু থেকেই রানের চাকা সচল রাখেন সাব্বির ও নাঈম। অষ্টম ওভারে রাজিবুল ইসলামের বলে লং অন দিয়ে ছক্কা মারেন সাব্বির। পরের ওভারে আসাদুজ্জামান পায়েলের বলে ৪টি চার মারেন ২৬ বছর বয়সী ওপেনার। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৭২ রান করে আবাহনী। স্রেফ ৩৮ বলে ৫০ পূর্ণ করেন সাব্বির। অষ্টাদশ ওভারে আসাদুজ্জামানের ¯েøায়ারে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তিনি। লং অনে দারুণ ক্যাচ নেন মোহর শেখ। নিজের পরের ওভারে আরেকটি ¯েøায়ারে নাঈমকেও ফেরান আসাদুজ্জামান। ৫৮ বলে ৩৭ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার। পরে ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই পুল করে ডিপ ফাইন লেগে ক্যাচ দেন আফিফ হোসেন। মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকের আলি ভালো কিছুর আভাস দিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৫০ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন জয়। জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ২১ রান। ষষ্ঠ উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়েন মোসাদ্দেক হোসেন ও সাইফ উদ্দিন। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ বলে ৩১ রান করে আউট হন সাইফ। আবাহনী অধিনায়ক খেলেন ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৮ বলে ৪২ রানের ইনিংস। শেষ দিকে ২ ছক্কায় ৯ বলে ১৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন রকিবুল হাসান। রান তাড়ায় একবারের জন্যও মনে হয়নি ম্যাচটি জিততে পারে পারটেক্স। তৃতীয় ওভারে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন মুনিম শাহরিয়ার। পঞ্চাশ রানের আগে ৫ উইকেট হারায় প্রিমিয়ার লিগে ফেরা দলটি। রাজিবুল ইসলাম করেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২০ রান। তানভিরের ৪ উইকেট ছাড়াও সাইফ উদ্দিন ও রকিবুল নেন ২টি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আবাহনী লিমিটেড: ৫০ ওভারে ২৬৮/৯ (নাঈম ৩৭, সাব্বির ৭১, জয় ৩৪, আফিফ ০, জাকের ২১, সৈকত ৪২, সাইফ উদ্দিন ৩১, নাহিদুল ৩, রাকিবুল ১৭*, তানভির ১, খালেদ ১*; মুক্তার ৯.৫-০-৪৯-২, মোহর ১০-০-৫৭-৩, রাজিবুল ১০-০-৫৫-০, আসাদুজ্জামান ৭.১-২-৩৩-৩, ১০-০-৪২-১, আজমির ৩-০-৩১-০)
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব: ৩২.৪ ওভারে ৯৭ (মুনিম ৪, মিজানুর ৮, আজমির ১৩, মাইশুকুর ১০, জাহিদুজ্জামান ১, তানবির ১৩, মুক্তার ১৪, রাজিবুল ২০, মোহর ২, রাকিবুল ৬, আসাদুজ্জামান ১*; সাইফ উদ্দিন ৪.৪-০-১৬-২, খালেদ ৫-১-১৪-১, তানভির ১০-১-২৬-৪, নাহিদুল ৫-১-১৭-১, রকিবুল ৮-১-২২-২)
ফল: আবাহনী লিমিটেড ১৭১ রানে জয়ী
https://www.kaabait.com