বিদেশ : পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফট্যানেন্ট জেনারেল হারজে হালেভি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শুধু তিনিই নয় বরং সেনাবাহিনীতে থাকা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি বিশাল অংশও এ সময় পদত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়েছে, ‘হালেভি শুধু একাই নন, তার সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরও অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পদত্যাগ করবেন। কী কারণে তারা পদত্যাগ করবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।’ ধারণা করা হচ্ছে, গত ৭ অক্টোবর স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের আক্রমণ সম্পর্কে অগ্রিম সতর্ক না থাকায় এবং হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার দায় নিয়ে তারা পদ ছাড়তে যাচ্ছেন। এর আগে হালেভি বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর যা হয়েছে তার জন্য তিনিই দায়ী। এরপর থেকে যা হয়েছে এবং যা হবে তিনি একাই তার সব দায় নেবেন। ইসরায়েল এখন যুদ্ধে আছে। তাই সেনাবাহিনীর লক্ষ্যবস্তু বর্তমানে শুধু যুদ্ধের দিকে থাকতে হবে। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলায় ১২শ’র বেশি মানুষ নিহত হয়। জিম্মি করে নিয়ে যায় আরও ২৪২ জনকে। ওই দিন থেকে পাল্টা আক্রমণে তীব্র আক্রোশে গাজার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার দেশটি। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি হামলায় পুরো গাজা ভ‚খÐ প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৩১ হাজার ৮১৯ ফিলিস্তিনি। আর আহত হয়েছেন ৭৩ হাজার ৯৩৪ জন। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার বাসিন্দারা প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে। এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর এমন আচরণে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। যুদ্ধ বন্ধের বদলে রোববার মিশরের সীমান্তবর্তী রাফা শহরে স্থল অভিযানের হুমকি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। যেখানে হামলার মুখে গাজার অন্যান্য এলাকা থেকে প্রায় ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।
https://www.kaabait.com