স্পোর্টস: টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে আর্চারির ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে এক ফাঁকে রোমান সানার সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপলের। তবে আলোচনা সফল হয়নি। রোমানকে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিতে বলা হয়েছে। এরপর তার সমস্যা নিয়ে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে রোমান ক্ষমা চাইবেন না। আগের অবস্থানে অনড় আছেন। রোমানের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী আর্চার দিয়া সিদ্দিকী ও জার্মান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ। সভা শেষে রাজীব উদ্দীন আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘রোমানকে আগে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। সে গণমাধ্যমে যে সব মিথ্যা বলেছে, সেগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। আর্চারিতে ফিরতে হলে তাকে নতুন করে শুরু করতে হবে। তার যে মানসিক রোগের চিকিৎসা চলছিল, সেটাও শেষ করতে হবে। মানসিক রোগ বলতে কিন্তু আমি রোমানকে পাগল বলিনি। ওয়ার্ল্ড আর্চারিও বলেছে, তার যেন চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। সে যখন চিঠি দিয়েছিল, আমি তাকে দেখা করতে বলেছিলাম। সে কেন দেখা করলো না? ছেলের অভিমান থাকতে পারে, বাবার কি অভিমান নেই?’ রোমান আগের দিনের সভা শেষে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দেওয়ার বিষয়ে নেতিবাচক বার্তা দিয়ে রেখেছেন। গতকাল সোমবার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি কেন ক্ষমা চাইবো? আমি তো কোনও অপরাধ করিনি। মিডিয়াতে কারও বিরুদ্ধে কথা বলিনি। একজন ক্রীড়াবিদের সুবিধাদি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। এটা যদি অন্যায় হয় তাহলে আমার কিছু বলার নেই। ক্ষমা চেয়ে জাতীয় দলে ফেরার কোনও ইচ্ছে নেই। এটা চপল স্যারকে আকার ইঙ্গিতে বলে এসেছি।’ সভাতে রোমানের ‘মানসিক রোগ’ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তিনি নিজেই তুলেছিলেন। আর এই প্রসঙ্গে টোকিও অলিম্পিকে খেলা আর্চার বলেছেন,’আমার রাগটা একটু বেশি। তাই মনোবিদের কাছে গিয়েছিলাম। তাই বলে আমি তো মানসিক রোগী নই। ভারতের আর্চারি দলে মনোবিদ সবসময় থাকে। ইউরোপসহ অনেক দেশেই আছে। তাহলে ওরা কী সবাই অসুস্থ! রাগ-জিদ না থাকলে সাফল্য পাবেন কী করে।’ রোমানের খুলনাতে পাঁচতলা বাড়ির প্রসঙ্গ এসেছে। সাবেক হওয়া এই আর্চার তা মিথ্যা দাবি করে বলেছেন, ‘খুলনা শহরে ৫ তলা বাড়ি থাকলে তো আমি আজ কোটিপতি! আসলে শহরের বাইরে পূর্ব রুপসায় আমি ও বাবা মিলে কয়েক কাঠার ওপর কোনোমতে একতলা করেছি। দুই রুম উঠেছে। তাও টাকার অভাবে শেষ হয়নি। আজ যদি এত কিছু থাকতো, আমার তাহলে তো মিডিয়া কিংবা ফেডারেশনের কাছে কিছু চাওয়া লাগতো না। সবশেষে রোমান বলেছেন, ‘সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি ছাড়া আমার ফেরার কোনও সুযোগ নেই। আমি চাই আমার মতো যারা ক্রীড়াবিদ আছে তারা যেন পদক জিতে জীবন যাপন নিয়ে অনিশ্চয়তায় না থাকে। এর জন্য আমি কাউকে দোষারোপ করছি না। তবে যারা বিষয়টি দেখেন তারা আবারও ভাববেন, দেশের স্বার্থে।’
https://www.kaabait.com