স্বাস্থ্য: শীতকালে কমবেশি সবারই সর্দি, কাশি, জ¦র, গলা ব্যথা হয়। গার্গল করে, ওষুধ খেয়ে দিন কয়েকের মধ্যে তা সেরেও যায়। তবে গলা ব্যথা যদি বেশি দিন স্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া জরুরি। কারণ শুধু ঠান্ডা লাগলে নয়, গলায় ক্যানসার হলেও এমনটা হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে মানুষ দেরিতে জানতে পারে এই ক্যানসারের কথা। তবে এই উপসর্গগুলো জানা থাকলে গলার ক্যানসারের বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া যায়। জেনে নিন গলা ব্যথা ছাড়া আর কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন।
কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন
ঠান্ডা লেগে গলা বসে যাওয়া বা গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে যাওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা। দিন কয়েকের মধ্যে আবার তা ঠিকও হয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে যদি কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন না হয়, তাহলে সতর্ক হতে হবে। কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন বড় রোগের লক্ষণ হতে পারে।
গলা ব্যথা
ঠান্ডা লেগে গলায় ব্যথা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। ঘরোয়া টোটকার সাহায্যে তা কয়েক দিনেই সেরে যায়। তবে গলা ব্যথা যদি কিছুতেই কমতে না চায় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তা ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এমনকি গলার ক্যানসারের কারণে কানে ব্যথাও দেখা দেয়।
খাবার গিলতে অসুবিধা
ঠান্ডা লাগার কারণে গলা ব্যথা হোক কিংবা ক্যানসার, উভয় ক্ষেত্রেই প্রাথমিক পর্যায়ে শক্ত খাবার গিলতে অসুবিধা হয়। কিন্তু ক্যানসার হয়ে থাকলে পরবর্তীতে তরল খাবার খেতে এমনকি ঢোক গিলতেও কষ্ট হতে পারে। ঠান্ডা লাগলে খুব বেশি হলে এক সপ্তাহ স্থায়ী হয়। কিন্তু ক্যানসার হলে এই লক্ষণগুলি দীর্ঘস্থায়ী হবে।
ক্রমাগত কাশি
আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময়ে কাশি, সর্দির সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। অনেকে আবার সারা বছরই কাশি নিয়ে নাজেহাল থাকেন। ঠান্ডা লাগাই কাশির একমাত্র কারণ নয়। কাশির নেপথ্যে থাকতে পারে আরও কিছু মারাত্মক শারীরিক সমস্যা। একটানা কাশি হতে থাকলে তা ক্যানসারের উপসর্গও হতে পারে। পরের দিকে শ্বাসকষ্টও দেখা দিতে পারে।
ওজন কমে যাওয়া
খাদ্যনালিতে ক্যানসার হওয়া মানেই খাবার না খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। কারণ খাবার গিলতে সমস্যা হয়, খাবারের প্রতি অরুচি আসে, খেতে ইচ্ছে করে না, যার ফলে খাওয়া অনেক কমে যায়। তখনই ওজন কমতে থাকে।
মুখে দুর্গন্ধ
ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ বা মুখে দুর্গন্ধ। সময়মতো ব্রাশ করা এবং মুখ ভালো ভাবে ধোওয়ার পরেও দুর্গন্ধের সমস্যা থেকেই যায়।
https://www.kaabait.com