জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস। প্রতিবছরের মতো এ বছরও দিবসটি দেশব্যাপী যথেষ্ট উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে পালিত হচ্ছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদানকল্পে সরকার ২০০০ সালের ২৬ জানুয়ারি আইনগত সহায়তা প্রদান আইন প্রণয়ন করে গরিব ও নিঃস্ব মানুষ যাতে আইনের আশ্রয় লাভের জন্য আদালত পর্যন্ত এসে পৌঁছাতে পারে তার ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে করতে হয়।
মূলত এ জন্যই আইনগত সহায়তার সৃষ্টি। গরিব, নিঃস্ব, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যারা আর্থিক কিংবা অন্যান্য আর্থ-সামাজিক কারণে আইনের আশ্রয় নিতে অক্ষম, তাদের সরকারি আইনি সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ করে দেয়।
জনহিতকর কাজের মধ্য নিয়ে সমাজের কল্যাণ সাধন করা রাষ্ট্রের একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আইনগত সহায়তা কার্যক্রম একটি জনকল্যাণমূলক সামাজিক কর্মসূচি। আইন কখনো মানুষে মানুষে বৈষম্যকে সমর্থন করে না। পৃথিবীর সব মানবাধিকার দলিলে আইনগত সহায়তা পাওয়ার অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ১২১৫ সালে রচিত ম্যাগনা কার্টার ৩৯ এবং ৪০ অনুচ্ছেদে, ১৯৪৮ সালে প্রণীত মানবাধিকার সর্বজনীন ঘোষণার ৭, ৮ ও ১০ নম্বর অনুচ্ছেদে, ১৯৬৬ সালে গৃহীত নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তির ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে, ১৯৮৬ সালে গৃহীত মানবাধিকারবিষয়ক আফ্রিকার সনদের ৩ ও ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে, ১৯৫০ সালে গৃহীত ইউরোপীয় মানবাধিকার কনভেনশনের ৬ নম্বর অনুচ্ছেদে আইনগত সহায়তা, সমতা ও সুবিচারকে মানবাধিকার হিসেবে স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করা আছে।
বর্তমান সময়ে পৃথিবীর প্রায় সব দেশের সংবিধানেই সমতা ও বিচার প্রাপ্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। আর্থিক অভাবের কারণে কোনো নাগরিক আইনের আশ্রয় নিতে পারবে না, এটি কোনোভাবেই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চরিত্র হতে পারে না। প্রকৃত পক্ষে,
আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে রাষ্ট্রের কোনো নাগরিক যদি আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়, তবে সংবিধানে বর্ণিত আইনের শাসন, সমতা, মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের বিধান অর্থহীন হয়ে পড়বে। সে জন্যই গরিব, অসহায় সব মানুষ যেন আইনি প্রতিকার পেতে পারে এবং আইনজীবী নিয়োগ করতে পারে, মামলা পরিচালনার খরচ নামমাত্র মূল্যে বা বিনা মূল্যে পেতে পারে, সে জন্যই রয়েছে আইনগত সহায়তা। সংবিধানে বর্ণিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতেও উচ্চারিত হয়েছে মানবাধিকার ও সাম্যের স্লোগান।
রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূল নীতি হিসেবে সংবিধানের ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে।’গনপ্রবাংলাদেশ সরকারের জাত আইন আইনগসহায়তা প্রদান সংস্থা,আইন ও বিচার বিভাগ আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এই স্লোগান কে সামনে রেখে একটি বিশাল র্যালী বের করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রবিবার ২৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসনিক ভবন মিলনায়তনে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ, সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগতম বক্তব্য দেন দলিতদের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার দাস, সভায় বক্তব্য দেন ডুমুরিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বিশ্বাস, ডুমুরিয়া উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, ডুমুরিয়া থানার ওসি তদন্ত কবির হোসেন, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন ,দলিতের Dpo,Ajw প্রকল্প নিত্যাই চন্দ্র দাস, বিনয় কৃষ্ণ রানা, মোঃ আবু হাসনাত, বক্তব্য বক্তরা বলেন সরকারি খরচে মামলায় আইন আইনগত সহায়তা প্রাপ্তির জন্য যোগ্য যারা ,যেকোন বিচার প্রার্থীর জন্য প্রদত্ত সেবা আইনি পরামর্শ ও তথ্য সহায়তা আপস মিমাংসার মাধ্যমে, বিরোধ নিষ্পত্তি করে থাকেন ।
অনুষ্ঠান সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন আরবী সুলতানা।
https://www.kaabait.com