• বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪২
সর্বশেষ :
জেন্ডার ট্রাসফরমেটিভ ওয়াশ বিষয়ক কর্মশালা শ্যামনগরে মৎস্য ঘের দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত-৩ ধানদিয়ায় উন্নয়ন প্রচেষ্টার উদ্যোগে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত দেবহাটায় শহীদ আসিফ স্মৃতি ব্যাডমিন্টন টুনামেন্ট অনুষ্ঠিত দেবহাটায় গ্রাম আদালত বিষয়ক মতবিনিময় সভা দেবহাটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল গাজীর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দা ফ ন সম্পন্ন মনিরামপুরে ব্র্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রত্যাশা ২ প্রকল্পের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত আশাশুনির দরগাহপুর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সুন্দরবন থেকে লাইলনের ফাঁদ, মাংস ও মৃ ত হরিণ উদ্ধার অবশেষে ৫৪ বছর পর পাইকগাছার দ্বীপ বেষ্টিত লতা -দেলুটি পিচের রাস্তা নির্মান

ডুমুরিয়ায় তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে খাবার স্যালাইন, বিস্কুট ও শরবত পানীয় বিতরণ

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া, খুলনা প্রতিনিধি  / ১০৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ১ মে, ২০২৪
ডুমুরিয়ায় তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে খাবার স্যালাইন, বিস্কুট ও শরবত পানীয় বিতরণ

মানবতার সেবায় সকল তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে খাবার স্যালাইন, বিস্কুট, পানীয় ও শরবত বিতরণ করা হয়। ০১ মে ২০২৪, রোজ বুধবার সকাল ১১ টায় নিজস্ব কার্যালয় (জমাদ্দার মার্কেট) ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস্ এন্ড হেলথ কেয়ার সোসাইটি, ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে ডুমুরিয়া চৌরঙ্গী মোড়ে ডুমুরিয়ায় তীব্র দাবদাহে খাবার সেলাইন বিশুদ্ধ পানি দারা শরবত তৈরি করে বিতরণ করেন।

 

খুলনার ডুমুরিয়ায় তীব্র দাবদাহ থেকে জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে সাধারণ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি খাবার সেলাইন, শরবত বিতরণ করার সময় উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন পারভিন রুমা , ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বুলু ,ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস্ এন্ড হেলথ কেয়ার সোসাইটি, ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুফতি আব্দুল কাইয়ুম জমাদার , সাধারণ সম্পাদক আবু বককর,সহ সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলাম , শাহাজাহান জমাদার ,ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন , ডুমুরিয়া সদর,বাস স্ট্যান্ড চত্বর ও চৌরঙ্গী মোড় হয়ে খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়ক এলাকায় পথচারী, দিনমজুর, ভ্যানচালক,খেটে খাওয়া মানুষ, বাসচালক থেকে শুরু করে সকল শ্রমজীবী মানুষে মাঝে পানি শরবত বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য উত্তপ্ত রাস্তায় মানুষকে বেরোতে হয়, বেঁচে থাকার জন্যই। এপ্রিল এমনিতেই দেশের উষ্ণতম মাস। চৈত্রের শেষ আর বৈশাখের শুরুতে গরমের তীব্রতায় হাঁসফাঁস করতে হয়। তারমধ্যে তাপপ্রবাহ চলছে। দেশজুড়ে টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নথিবদ্ধ করা হলো বুধবার।

 

বৃষ্টির জন্য মানুষ আকুতি করছে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখার জন্য মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে, বৃষ্টির দেখা নেই। ডুযুরিয়ায় রাস্তায় তীব্র তাপপ্রবাহে তৃষ্ণার্ত মানুষকে পানি ও শরবৎ সরবরাহ করছেন অনেকেই। নিজ উদ্যোগে বা কোন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এমন কার্যক্রম চোখে পড়ছে।

 

এবার বৃষ্টিপাতের প্রবণতা না থাকায় চৈত্র মাসের শেষ সময় থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। চলতি মৌসুমে তাপপ্রবাহ শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনে বিঘ্ন ঘটছে। সড়কে হিট স্ট্রোকের ঘটনার কথা খবরে আসছে। আর এসবকে কেন্দ্র করেই কিছু মানবিক মানুষ লেবুর শরবত ও পানির বোতল নিয়ে পথে নেমেছেন তারা এসব তুলে দিচ্ছেন সাধারণ পথচারীদের হাতে।

ডুমুরিয়া উপজেলা ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস্ এন্ড হেলথ কেয়ার সোসাইটি, ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি হষরত মাওলানা মুফতি আব্দুল কাইয়ুম জমাদার , নেতৃত্বে ভ্যানে করে একদল তরুণ পানির বোতল খাবার স্যালাইনও শরবৎ পথচারীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। পথচারীরাও থেমে শরবৎ পান করছেন। কেউ কেউ পানির বোতল সাথে করে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। একই দৃশ্য দেখা গেল ডুমুরিয়া চৌরঙ্গী মোড়ে এখানে আরো বড় পরিসরে পানির বোতল পথচারীদের তুলে দিচ্ছেন।

ডুমুরিয়া উপজেলা উপরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন পারভিন রুমা বলেন, পথচারীরা গরমে অনেকেই মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছেন। এই সময়টা একটু পানির শরবত দরকার হয়। অনেকেই এভাবে রাস্তায় পানিরশরবত বিতরণ করছেন এটা খুবই ভালো উদ্যোগ।

আরেকজন পথচারী বললেন, মানুষ মানুষের জন্য ভাবছে এটা বড় কথা। এই সময়টা পথের মানুষের জন্য পানিটা খুবই জরুরি। যারা এমন কাজ করছে তাদের আল্লাহ মঙ্গল করুন।

এদিকে, আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ডেটা সংরক্ষণ রাখা আছে। চলতি মৌসুমের আগের ৭৫ বছরের মধ্যে টানা সর্বোচ্চ ২৫ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে চলে ২০২৪ সালে। ওই বছরের এপ্রিলের শেষ ১৮ দিন ও মে মাসের শুরুর ৬ দিন দাবদাহ ছিল দেশে।

এখন পর্যন্ত টানা ২৭ দিনের তাপপ্রবাহের তথ্য তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ শাহীনুল বলেন, ৩১ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কিছু কিছু অঞ্চলে তাপপ্রবাহ ছিল, তাপমাত্রার পরিমাণও (তুলনামূলক) ছিল কম। ১১ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহ মৃদু থেকে বেড়ে মাঝারি রূপ নেয় এবং যোগ হয়েছে কিছু অঞ্চল। ১৬ তারিখ থেকে তীব্রতা বেড়ে ৪০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠেছে। সেই সঙ্গে ব্যাপক অঞ্চলে তা বিস্তৃতি লাভ করে এবং তাপমাত্রার পরিমাণ তীব্র থেকে অতি তীব্র হয়।

এর মধ্যে ২২ এপ্রিল খুলনা তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বুধবার ৪২দশমিক ৭ ডিগ্রি ওঠে। আর আজ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠে।

বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

গত বছর ৩১ এপ্রিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এবারেও একই তাপমাত্রা আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদের ভাষ্য, “গত বছর বাতাসে আর্দ্রতা কম ছিল। এবার আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে মানুষের শরীর ঘামছে, অস্বস্তি বেশি হচ্ছে।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com