বিদেশ : এ বছরের শেষদিকে গাঁজা নিষিদ্ধ করবে থাইল্যান্ড। বিনোদনমূলক ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও চিকিৎসার উদ্দেশ্যে এর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে। এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী চোলনান শ্রীকাউ। খবর রয়টার্সের। চিকিৎসায় গাঁজার ব্যবহারে বৈধতা দেওয়ার দিক দিয়ে থাইল্যান্ড দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গাঁজার ব্যবহার ২০১৮ সালে অনুমোদন করে থাইল্যান্ড। এরপর ২০২২ সালে বিনোদনমূলক ব্যবহারের জন্যও গাঁজাকে বৈধতা দেওয়া হয়। এর এক বছরের মধ্যে প্রায় ১২০ কোটি ডলার মূল্যের বাণিজ্যে পরিণত হয় গাঁজা। থাইল্যান্ডে গড়ে ওঠে হাজার হাজার গাঁজার দোকান। থাইল্যান্ড সরকার গাঁজার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি নতুন আইনের খসড়া তৈরি করেছে-যা চলতি বছরের শেষ নাগাদ কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বছরের শেষ দিকে সংসদে পাস করার আগে খসড়া বিলটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় যাবে বলে জানান দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বিনোদনমূলক গাঁজার ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গাঁজা ব্যবহারে আইন না থাকলে এর অপব্যবহার হবে। আর এর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শিশুদের ওপর। দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবে তারা অন্যান্য নেশাদ্রব্যের দিকেও ঝুঁকে যেতে পারে। গত মে মাসে সাধারণ নির্বাচনের আগে থাইল্যান্ডের পূর্ববর্তী সরকার গাঁজার ব্যবহার নিয়ে সংসদে একটি সমন্বিত আইন প্রণয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছিল। অবৈধভাবে পরিচালিত গাঁজার দোকানগুলোকে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলেও জানান থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বাড়িতে গাঁজা উৎপাদনকেও নিরুৎসাহিত করা হবে। থাইল্যান্ড বৈধভাবে নিবন্ধিত গাঁজার দোকানের সংখ্যা ২০ হাজারেই সীমিত রেখেছে। তিনি বলেন, ‘নতুন আইনে গাঁজা হবে একটি নিয়ন্ত্রিত উদ্ভিদ। কারণ, এর উৎপাদনের জন্য অনুমতির প্রয়োজন হবে। আমরা চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য শিল্পের জন্য গাঁজা চাষ সমর্থন করব।’ খসড়া আইনটিতে গাঁজার বিনোদনমূলক ব্যবহারের জন্য ৬০,০০০ বাথ (১,৭০০ ডলার) পর্যন্ত জরিমানার কথা উল্লেখ আছে। এই ধরনের ব্যবহারের জন্য গাঁজা বিক্রি এবং এর বিজ্ঞাপন বা বিপণনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত জেল অথবা ১ লাখ বাথ (২,৮০০ ডলার) পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দÐের কথাও বলা হয়েছে।
https://www.kaabait.com