• বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৮
সর্বশেষ :
দেবহাটায় ৩দিনব্যাপী ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন নিরাপদ সড়কের জন্য দুই রাজনৈতিক নেতার প্রতিশ্রুতি নিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন জেন্ডার ট্রাসফরমেটিভ ওয়াশ বিষয়ক কর্মশালা শ্যামনগরে মৎস্য ঘের দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত-৩ ধানদিয়ায় উন্নয়ন প্রচেষ্টার উদ্যোগে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত দেবহাটায় শহীদ আসিফ স্মৃতি ব্যাডমিন্টন টুনামেন্ট অনুষ্ঠিত দেবহাটায় গ্রাম আদালত বিষয়ক মতবিনিময় সভা দেবহাটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল গাজীর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দা ফ ন সম্পন্ন মনিরামপুরে ব্র্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রত্যাশা ২ প্রকল্পের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত আশাশুনির দরগাহপুর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

দুপচাঁচিয়ার ধারশুন-ফুটানিগঞ্জ সড়কে কাঁচা অংশ : চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী

বগুড়া প্রতিনিধি / ৭৮ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুরের ধারশুন-ফুটানিগঞ্জ গ্রামীণ সড়কটি ৩শ’ মিটার পাকাকরণ হলেও প্রায় ৭শ’ মিটার অংশ এখনও কাঁচা রয়ে গেছে। ফলে ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না। উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের ধারশুন থেকে ফুটানিগঞ্জ প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় একটি সড়ক।

 

তাঁতশিল্প অঞ্চল হিসেবে পরিচিত ফুটানিগঞ্জে প্রায় তিন হাজার মানুষের বসবাস। এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষের প্রধান আয়ের উৎস তাঁত। নিজ বাড়িতেই তাঁতে নিজেদের হাতে গামছা, তোয়ালা, চাদর, কম্বল তৈরি করে তা বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। ধারশুন-ফুটানিগঞ্জ সড়কটি এ এলাকার মানুষদের চলাচলের একমাত্র সড়ক। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের উত্তর পাশ দিয়ে গোবিন্দপুরের ধারশুন গ্রামের প্রবেশ মুখ থেকে উত্তর দিকে ধারশুন প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক পাকা হলেও ধারশুন থেকে ফুটানিগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৭শ’ মিটার সড়কটি কাঁচাই রয়েছে। সড়কের খানাখন্দকের গর্তগুলো বৃষ্টির পানিতে ভরে আছে। পুরো সড়কই কর্দমাক্ত অবস্থায়। ফলে এই গ্রামের মানুষদেরকে তাদের তৈরি তাঁতপণ্য বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করতে যাতায়াতে চরমদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেই সাথে কৃষিপণ্য বহনেও দুর্ভোগ কম নয়।

 

এ ব্যাপারে ফুটানিগঞ্জের তাঁতশিল্প কারিগর আবু বক্কর ছিদ্দিক, হাবিবুর রহমান, আজিজুল হক, আজাদ প্রামানিক, আব্বাস আলী, ইছাহাক হোসেন, ধান ব্যবসায়ী অছির উদ্দীন, জিয়াউর রহমানসহ অনেকেই জানান, স্বাধীনতার পর থেকেই তারা তাদের বাপ-দাদার মুখে শুনেছেন সড়কটি পাকা হবে। তাঁত শিল্প অঞ্চল হিসেবে পরিচিত এলাকায় বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থীরা ভোট নিতে এসে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে সড়কটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। নির্বাচিত হওয়ার পর কেউ তাদের কথা রাখেননি।

 

বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন হাট-বাজারে তাদের তাঁতের তৈরি পণ্য বিক্রি করে বাড়িতে ফিরতে রাত হয়। এসময় কর্দামাক্ত রাস্তায় তাদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।

 

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন মল্লিক জানান, ধারশুন-ফুটানিগঞ্জ গ্রামীণ সড়কটি পাকা করা জরুরি। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সড়কটি পাকাকরণে সর্বচ্চো গুরুত্ব দিয়েছেন। সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন। সড়কটি অবশিষ্ট অংশ পাকাকরণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান।

 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রুবেল হোসেন জানান, সড়কটি প্রায় ৭শ’ মিটার অংশ পাকাকরণের জন্য স্কিম তৈরি করে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়। বরাদ্দ না থাকায় অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তবে অন্য একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কটি পাকাকরণের প্রক্রিয়া চলছে।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com