• মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২৫
সর্বশেষ :
উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি ইউনিয়ন পরিষদের রূপকল্প ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধে শ্যামনগরে র‍্যালি, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন নির্বাচিত হতে পারলে খাজরা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা ও কোনো কাঁচা রাস্তা : সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন ব্রহ্মরাজপুরে দীর্ঘদিন ধরে ওয়ারেশ নিয়ে বিরোধ: অবশেষে আদালতের রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি কালিগঞ্জে পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে গণশুনানি অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় কোটি কোটি টাকার শীতকালীন সবজি উৎপাদন ডুমুরিয়ায় বিশেষ অভিযানে পুশকৃত চিংড়ি জব্দ, অর্থদণ্ড তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত! নারায়ণগঞ্জে ব্র্যাকের ডেঙ্গু প্রতিরোধ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সভা

পাইকগাছায় কনকনে শীতের মধ্যে ব্যোরা ধান চাষে ব্যস্ত চাষীরা

পাইকগাছা, খুলনা প্রতিনিধি / ১২৫ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৫

পাইকগাছায় কনকণে ঠান্ডা উপেক্ষা করে চলতি বোরো মৌসুমে ধান রোপনে ব্যস্তসময় পার করছেন চাষিরা । তবে মাঝখানে শীত ও ঘন কুয়াশার কারনে বোরোর বীজতলা ও রোপনকৃত চারা টিকিয়ে রাখতে কৃষকদের হিমশীম খেতে হয়েছে। এখন কৃষকরা পুরদমে বোরো ধানের চারা রোপন শুরু করেছে।

শীত ও কুয়াশার মধ্যে কৃষকরা পরাদমে বোরোর আবাদ করছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ৫হাজার ৯৯৫হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বোরোর চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে। বোরো আবাদের জন্য ৩২৫ হেক্টর জমিতে বোরোর বীজতলা তৈরী হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৯৫ হেক্টর উফশি ২৩০ হেক্টর।

জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে উপকূল অঞ্চলের কৃষি কাজ অন্য এলাকা থেকে এক থেকে দেড়মাস পরে শুরু হয়। এর ফলে অন্য এলাকার সাথে উপকূলীয় এলাকার চাষাবাদ ব্যবধান তৈরী হচ্ছে। সব মৌসুমেই চাষাবাদ দেরিতে শুরু হচ্ছে।

 

এখনো আমন ধান কর্তন চলছে। ধান কাটার পর এসব ক্ষেত বোরো আবাদের জন্য প্রস্তুত করা হবে। তাছাড়া বৈরী আবহাওয়ার সাথে মোকাবেলা করে ফসল লাগাতে হয়।
উপজেলার হিতামপুর ব্লাকের কৃষক নজরুল ইসলাম বালেন, মাঝখানের তীব্র শীত ও কুয়াশায় ধানের চারা কিছুটা লাল হয়েছিলো।পলিথিন দিয়ে ঢেকে,পানি বদলসহ নানারকম পরিচর্যা করে বীজতলা ও রোপনকৃত চারা টিকিয়ে রাখা হয়েছে। তবে শ্রমিকের উচ্চ মূল্যের পরও চাহিদামত বোরো আবাদ করার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।এতে করে বোরো আবাদ সম্পন্ন করতে সময় বেশি লাগছে।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ একরামুল ইসলাম জানান, মাঝখানে তীব্র শীত ও কুয়াশা পড়লেও বীজতলা কোন ক্ষতি হয়নি। তাছাড়া প্রতিদিন পানি বদল করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি কৃষি অফিস থেকে সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। এখন আবহাওয়া বোরো আবাদের জন্য পুরাপুরি অনুকুলে রয়েছে। এসময় চারা রোপন করলে বোরোর আবাদ ভালো হবে।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com