• শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ১২:১৪
সর্বশেষ :
ডুমুরিয়ায় মোহাম্মদ আলি আসগার লবি স্লূইচ গেট পরিদর্শন করলেন কোনো দূর্নীতি-চাঁ দা বাজের রক্ষা হবে না, মহম্মদপুরে- নিতাই রায় চৌধুরী  অসহায়দের মাঝে ভ্যান ও টিনসহ অনুদান প্রদান করলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পাথর মে রে হ ত্যা : গ্রেপ্তার ৪ সততা ও নিষ্ঠার সাথে থানা এলাকার আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমি সর্বদা স্বচেষ্ট-ওসি হাফিজুর রহমান সাতক্ষীরায় দায়িত্বরত অবস্থায় এসআই’র মৃ ত্যু মহম্মদপুরে কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন  দেবহাটা উপজেলা জাতীয় পুষ্টি কমিটির মাসিক সভা ও সমাপনী আশাশুনি যাত্রীবাহী বাস খাদে, আহত-১৪ ডুমুরিয়ায় ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিদ্যমান সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার

পাইকগাছায় সজিনার বাম্পার ফলন হয়েছে

প্রতিনিধি: / ১৮২ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪

ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা): পাইকগাছায় সজিনার ব্যাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর সজিনার ফলন ভালো হয়েছে। সজিনায় উচ্চ মূল্য পাওয়ায় চাষীরা খুশি। শুরুতে বাজারে সজিনার কেজি ১৬০-১৮০  টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ১২০-১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  তবে ব্যবসায়ীরা ক্ষেত থেকে একশত থেকে একশত দশ টাকা দরে পাইকারি ক্রয় করছে। মূল্য বেশি পাওয়ায় কৃষকরা সজিনার ডাল রোপন করতে উৎসাহিত হচ্ছে। বসতবাড়ীর আশে পাশে রাস্তার ধারে ক্ষেতের আইলে লাগানো সজনে গাছ যত্ন ছাড়াই অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। সজিনা পুষ্টি ও ভেজষগুনে ভরা সবজি হিসাবে খুব দামী।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায ৩৫ হেক্টর জমিতে ৩৫ থেকে ৩৭ হাজার  সজিনা গাছ আছে। প্রতি হেক্টরে ফলন ৪ থেকে সাড়ে ৪ টন।  দেশে ২টি জাত আছে, একটি হালো সজিনা ও আর একটি নজিনা। ভারত থেকে হাইব্রিড সজিনার জাত এদেশে এসেছে। এ জাতের বীজ বপন করে লাগাতে হয়। হাইব্রিড জাতের সজিনা গাছে দু’বার ফুল আসে। ফেব্রুয়ারী-মার্চ ও জুন-জুলাই মাস। গত বছর উপজেলায় ২১ হাজার সজিনার ডাল রোপন করা হয়েছে।
সজিনা গাছের পাতা, ফুল, ফল, ব্যাকল ও শিকড় সবই মানুষের উপকারে আসে। সজিনার পুষ্টি গুন অনেক বেশী। এ গাছের অনেক গুন থাকায়, এ গাছকে যাদুর গাছ বলা হয়। কাঁচা সবুজ পাতা রান্না করে, ভত্তা করে ও বড়া ভেজে খাওয়া যায়। ফল সবজির মত রান্না করে খাওয়া যায়, ফল পাকলে সে সব ফলের বীজ বাদামের মতো ভেজে খাওয়া যায়। সজিনার পাতা, ফল, ফুল, বীজ, ছাল, মুলের ভেজষ গুনও আছে। তাই সজিনা গাছের বিভিন্ন অংশ ভেজষ চিকিৎসায় কাজে লাগে। সজিনার পাতার পুষ্টিগুন বেশী, যেভাবে খাওয়া হোক না কেন তা শরীরে পুষ্টি যোগাবে, আর ঔষধীগুন তো আছেই। সজিনার পাতায় যে পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে তা অনেক পুষ্টিকর খাবারেও নেই। যেমন, ডিমের চেয়ে বেশী আমিষ, দুধের চেয়ে বেশী ক্যালশিয়াম, কমলার চেয়ে বেশী ভিটামিন সি, কলার চেয়ে বেশী ক্যালশিয়াম, গাজরের চেয়ে বেশী ভিটামিন এ আছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অসিম কুমার দাশ  জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর সজিনার ভালো ফলন হয়েছে। তিনি আরো জানান, উপজেলার প্রতি বাড়ীতে কমবেশি সজিনা গাছ আছে। সজিনা পুষ্টিকর সবজি হিসাবে ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরিকল্পিতভাবে সজিনা ক্ষেত গড়ে তোলার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com