হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান রায়হান (২৭) জন্ম থেকেই দুটি হাত ও দুটি পা অচল। হুইল চেয়ার ই তার একমাত্র সঙ্গী, যে হুইল চেয়ারে তার চলাফেরা, সেই হুইল চেয়ারে ই তার ব্যবসা। বিকলাঙ্গ হাত পা নিযয়ে দুয়ারে দুয়ারে ভিক্ষাবৃত্তি না করে স্বনির্ভর হতে চাই রায়হান। তাই জীবন যুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ ফ্লাক্সিলোডের দোকান চালাচ্ছেন প্রতিবন্ধী রায়হান মোড়ল। জীবন যুদ্ধে হার না মানা প্রতিবন্ধী যোদ্ধা রায়হান বিকলাঙ্গ দুটি হাত -পা নিযয়েই ফ্লাক্সিলোডের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
সে জানায়, তার আরও একটি জন্ম প্রতিবন্ধী ভাই অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় কয়েক বছর আগে মারা গেছে। বিকলাঙ্গ দুটি হাত, দুটি পা নিযয়েই ফ্লাক্সিলোডের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করার আপ্রাণ চেষ্টা। প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে, রাত পর্যান্ত মাছিয়াড়া বাদাম তলা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ দোকান চলতে দেখা যায়। অভাব অনটনের সংসারের চাকা তো আর থেমে থাকে না। কিন্তু সে আর দশজনের মত ভিক্ষা করার পেশা বেছে নেয়নি। সংসারের বোঝা কাঁধে নিয়ে বেছে নিয়েছে ফ্রেক্সিলোডের ব্যবসা করছে।
সে অশ্রু সজল চোখে বলেন, সংসারের অভাব অনটনের কারনে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারিনা। প্রতিবন্ধি রায়হান আরোও জানায়, আমার বড় লোক হবার স্বপ্ন না, এই ব্যবসা করে দু-বেলা দু’ মুঠো খাবার খেতেপারি ও দিনমজুর বৃদ্ধ বাবা-মাকে একটু সেবা করতে পারি, একটুই চাওয়া। সে কারো সহায়তায় বেঁচে থাকতে চাই না, অন্যের কাছে হাত পাততে সংকোচ লাগে তার।
তবে , কেউ যদি চিকিৎসার জন্য বা হুইল চেয়ার দিতে হাত বাড়াতে চাই, সেটা সাদরে গ্রহণ করবে। প্রতিবন্ধী রায়হানের মতো যোদ্ধাদের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসতে পারেন সমাজের বিত্তবান ও পরোপকারী ব্যক্তিরাও। শারীরিক প্রতিবন্ধী রায়হানের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে পারেন আপনিও।
https://www.kaabait.com