বগুড়ার শেরপুরের ছোনকা এলাকার মজুমদার গুরুুপের প্রতিষ্ঠান মজুমদার ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেড এর কারখানার তেলের ট্যাংক মেরামতের কাজ করার সময় বিস্ফোরনে ৪জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন-ইমরান হোসেন (৩২), সাঈদ হোসেন(৩৮), রুবেল হোসেন(৩১) ও মনির হোসেন(২৮)।
নিহতদের এই ঝুকিপুর্ন কাজের জন্য ছিলোনা সেফটি পোশাক ও ইন্স্যুরেন্স। লেবার আইন অনুযায়ী এধরনের ঝুকিপুর্ন কাজের শ্রমিকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থারেখে কাজ করা অত্যাবশক।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী, শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম রেজা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ও ফায়ার সার্ভিসের লিডার সাইফুল ইসলাম।
জানা যায়, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর উপজেলার ছোনকা মজুমদার ফুড প্রোডাক্টের পাইপ লাইনের মেরামতের কাজেন জন্য থার্ডপার্টি সাপ্লায়ারের শ্রমিকের কাজ করতে আসে। সেই মোতাবেক কন্ট্রাক্টর মো. আজাদের মাধ্যমে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর অফিসার্স কলোনী এলাকার খলিলের ছেলে ইমরান হোসেন, মো. সোলাইমানের ছেলে সাঈদ হোসেন, রুবেল ও আব্দুস সালামের ছেলে মনির হোসেন কোম্পানীতে পাইপ লাইনের কাজ করতে আসে।
১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে পাইপ লাইনের কাজ করার জন্য তারা তেলের ট্যাংকির উপরে ওঠে। তেলের ট্যাংটি অতিরিক্ত তাপ হওয়ায় ট্যাংকি বিস্ফোরণ হয়ে ঢাকনা খুলে গেলে তারা প্রায় ১০০ ফুট নিচে পরে যায় এবং গরম তেলে তাদের সারা শরীর ঝলশে যায়। পরে অন্যান্য শ্রমিক ও কোম্পানী এইচআর এডমিন রঞ্জন চক্রবর্তী তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষনা করেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম রেজা বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী বলেন, ওই কাজটি সাধারণ শ্রমিক দিয়ে করানো ঠিক হয়নি। যেখানে বিদ্যুত ও গ্যাসের লাইনে এক জায়গায় সেখানে একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ থাকা প্রয়োজন ছিল।
এ দুর্ঘটনার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন, খাদ্য অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, বিস্ফোরক অধিদপ্তর ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।