বিএনপির শক্তি কমে মুখের বিষ উগ্র হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা হয়। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধিতা করে বিদেশি যারা বিভিন্ন কথা বলেছিল তারা এখন সরকারের সঙ্গে কাজ করার কথা বলছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির শক্তি কমে গেছে। শক্তি কমে গেলে মুখের বিষ উগ্র হয়ে উঠে। মানুষের শক্তি কমে গেলে মনে রাখবেন মুখের বিষ উগ্র হয়। বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে এটাই মনে হয়। এত বেশ তাদের মুখে, এত বাজে কথা, এত নোংরা কথা একটা রাজনৈতিক দলের নেতারা বলতে পারে এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ এখন অনেকটা ভালো, আমরা স্টেবল, আমাদের এখন আশঙ্কা করার কোনো কারণ নেই। তিনি আরও বলেন, আপনারা অপপ্রচার মিথ্যাচারের বিভ্রান্ত হবেন না। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশি ষড়যন্ত্রের খেলা, এ অশুভ খেলায় ভারত একাত্তরে যেমন আমাদের পাশে ছিল, ভারতসহ কিছু বন্ধুদের এবারও আমরা পাশে পেয়েছি। এটা হলো ভারতের অপরাধ সেজন্য ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে বলে। ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে যারা বলে তাদের রান্না ঘরে ভারত, তোদের ড্রেসিংরুমে ভারত, তাদের সবার ঘরে ভারত এটা হলো বাস্তবতা। সবকিছু হারিয়ে বিএনপি এখন ভারত বিরোধিতায় নেমেছে। বিভ্রান্ত হবেন না কিছুই করতে পারবে না, কিছু করার ক্ষমতা তাদের নেই। এদিকে উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের প্রভাব বিস্তার বা হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা এবার প্রথম থেকেই আটঘাট বেঁধে নেমেছি। কারণ প্রথম থেকেই সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার দিকে আমরা নজর দিয়েছি। যার যেমন খুশি যখন তখন দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দেবেন সেটার দায়িত্ব দল গ্রহণ করবে না। একজনের একটা বক্তব্য গোটা দলের শৃঙ্খলার ওপর আঘাত করে। এমন কিছু হলে অবশ্যই আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের যেখানে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় ওয়াল আছে তা ভেঙে দিতে হবে। উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন। উপজেলা নির্বাচন এবার নতুনভাবে, নতুন পরিবেশে আপনাদের অনুরোধে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা দেখতে চাই এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কতটা প্রতিযোগিতামূলক, প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক হয়। আমি সংসদ সদস্য, আমি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করবো, আমার একজন থাকবে তাকে জেতানোর জন্য গোটা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করবো, এটা হতে পারবে না। যে উদ্দেশে এ নির্বাচন উন্মুক্ত করা হয়েছে সেই উদ্দেশ্যটা কোনো অবস্থাতেই ব্যাহত করা যাবে না। নির্বাচনে যারা প্রার্থী হতে চায় হবে। আমরা একটা প্রভাবমুক্ত ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন করতে চাই। এ সভায় রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও দলীয় এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
https://www.kaabait.com