• সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০
সর্বশেষ :

বয়স জালিয়াতি করে ৩৭বছর চাকরি

নিজস্ব প্রতিনিধি / ৭৮ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪
বয়স জালিয়াতি করে ৩৭বছর চাকরি

বয়স চলে  চুয়াত্তর  সরকারী বিধিমালা অনুযায়ী অবসরে যাওয়ার সময় এসেছে তার। কিন্ত সনদে বয়স জালিয়াতি করে প্রায় ৩৭ বছর ধরে সাতক্ষীরার তালা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধদিপ্তরের ‘ভি,এস ম্যাশন’ পদে চাকরি করছেন মীর আব্দুল গনি। মীর আব্দুল গনি  তালা সদরের মৃত মীর বদর উদ্দীনের ছেলে । দীর্ঘদিন প্রশাসনের নাকের ডগায় তিনি বয়স জালিয়াতি করে চাকুরী করে আসলেও নজরে আসেনি কারোর।
অনুসন্ধানে জানা গেছে,  মীর আব্দুল গনির বিরুদ্ধে জমি দখল, প্রতারণা, চুরি, নারী কেলেংকারী সহ নানা অভিযোগ । সরকারী চাকুরী করার পরও তার স্ত্রী ছামেনা খাতুনের নামে ৫০ শতাংশ খাসজমি বন্দোবস্ত নিয়ে সেটা বহাল তবিয়াতে ভোগ দখল করে আসছেন তিনি। জন্মতারিখ অনুয়ায়ী মীর আব্দুল গনির বয়স এখন ৫৮ বছর। বর্তমান তার জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ উল্লেখ রয়েছে ১৫ জুন ১৯৬৬।এদিকে তার ছোট ভাই মীর রফিকুল ইসলামের জন্ম ৩০ সেপ্টেম্ব ১৯৫১। ছোট ভাইয়ের চেয়ে মীর আব্দুল গনির বয়স প্রায় ১৫ বছর বেশি হলে গনির এত কম হয় কিভাবে? এনিয়ে রয়েছে  কৌতুহল জনমনে ।
স্থানীয়রা জানান, ৩৭ বছর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধদিপ্তরের ‘ভি,এস ম্যাশন’ পদে চাকরি করে চলেছেন  মীর আব্দুল গনি। টানা ২৭ বছর তিনি নিজ উপজেলাতে   চাকুরী করেন তিনি। কর্মস্থলের পাশে  বাড়ি হওয়ায় সুবাদে  অধিকাংশ সময় অফিসে দেখা যায় না তাকে ।অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘ ২৭/২৮ ধরে একই এলাকায়  কর্মরত থাকার সুবাদে মীর আব্দুল গনি অফিস ফাঁকিসহ চরমপন্থি নেতা  কফিল উদ্দীন খাঁর সাথে মিলে জমি প্রতারণা,দখল, সুদের ব্যবসা, জাল দলিল তৈরিসহ নানান অপকর্মে জড়িয়ে রয়েছেন তিনি ।
তারা আরো জানান, মীর আব্দুল গনির প্রকৃত জন্ম তারিখ ১৯৫০ সালের দিকে। তার চেয়ে বয়সে ছোট অনেকেই চাকুরী থেকে গিয়েছেন  অবসরে। এদিকে মীর আব্দুল গনির নিজের ছোট ভাইয়ের বয়স বর্তমানে প্রায় ৭২ বছর। অন্যান্য ছোটভাইদের বয়সও জন্মসনদ অনুয়ায়ী তার চেয়ে বয়স বেশি থাকলেও  জালিয়াতি করে কমিয়ে  বহাল তবিয়াতে চাকুরী করে যাচ্ছেন তিনি। এঘটনায় তার সংক্লিষ্ট কৃর্তৃপক্ষের  হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে  মীর আব্দুল গনি জানান,, “আমার বয়স ৭৪ বছর চলে মেনে নিলাম আপনারা প্রমান করেন। আমার ক্ষমতা আছে আমি চাকরি করি  আপনারা যা করার করেন।
তালা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কৌশিক রায় জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে ঘটনাটি  খতিয়ে দেখে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে ।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com