পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: উপজেলার ভিলেজ পাইকগাছায় মন্দির নির্মান চেষ্টা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে বিকে ফাউন্ডেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর পায়তারার অভিযোগ হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার ভিলেজ পাইকগাছার মৃতঃ কানাইলাল মন্ডলের দু’ছেলে অজিত কুমার মন্ডল ও বিধান চন্দ্র মন্ডল বাদী হয়ে এ অভিযোগ করেছেন।
বিবাদীরা হলেন,হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থানীয় বাসিন্দা ও বি,কে ফাউন্ডেশনের দায়িত্বরত হিরামন মন্ডল, সুভাষ চন্দ্র রায়, তুহিন মন্ডল ও বিকাশ সরদার।
বাদী পক্ষ অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, বিকে ফাউন্ডেশন তাদের পিতা-মাতার নামে। অমেরিকা প্রবাসি আমাদের ছোট ভাই ড. কৃষ্ণপদ মন্ডল গ্রামের সার্বজনীন পূরাতন বাসন্তি মন্দিরের তদস্থলে নতূন মন্দির স্থাপনের জন্য ১৬ লক্ষ টাকা পাঠান। এ মুহূর্তে ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে ড. কৃষ্ণপদ মন্ডলের শারিরীক অবস্থা সংকটাপন্ন। ঠিক এ অবস্থায় আমাদের অবজ্ঞা করে টাকা আত্মসাৎ করতে বিবাদীরা তড়িঘড়ি করে শুক্রবার সকালে মন্দির নির্মানের চেষ্টা করছেন। সে কারনে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে থানার ওসির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ড. কৃষ্ণ মন্ডল এর দুই ভাই। এ ব্যাপারে মন্দির কমিটির সভাপতি হিমাদ্রি সরদার বলেন বিদেশ থেকে পাঠানো ফাউন্ডেশনের টাকা অনেকের ব্যক্তিগত কাছে রয়েছে, তারা কমিটির কাউকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে মন্দির নির্মাণ করতে চাই, যেখানে মন্দির কমিটি সহ এলাকার কারোর সমর্থন নাই। কেউ যদি জোর পূর্বক নির্মাণ করতে চাই, তাহলে সংঘাত তৈরী হবে, আমরা চাই মন্দির কমিটির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ভাবে সবকিছুই স্বাভাবিক ভাবেই হোক। ফাউন্ডেশনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে সুভাষ মন্ডল বলেন ড. কৃষ্ণ মন্ডল এলাকায় একটি মন্দির নির্মাণ করার ইচ্ছা পোষণ করেন, বিষয়টি আমি মন্দিরের সংস্কার কমিটিতে উত্থাপন করি, এখানে বিকে ফাউন্ডেশনের ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি রয়েছে এই কমিটির মাধ্যমে প্রায় সমস্ত অর্থ ব্যাংকে জমা রয়েছে এখানে আত্মসাৎ করার কোন সুযোগ নাই বলে তিনি জানান।
এ সম্পর্কে ওসি মোঃ ওবাইদুর রহমান বলেন,নতূন মন্দির নির্মান চেষ্টায় সংঘাত হতে পারে এক পক্ষের এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। এজন্য বিষয়টি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য দু’ পক্ষকে ডাকার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।