
মাসুম বিল্লাহ, মির্জাগঞ্জ: মির্জাগঞ্জে ঈদ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগে উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ ইউপি সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটি প্রদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম।
জানাযায়, উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক ভিজিএফ কার্ড ধারীকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তাদেরকে ৮ থেকে ৯ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকে উপজেলার সুবিদখালী বাজারের অস্থায়ী দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন পরিষদে এই চাল বিতরণ করা হয়।
জানাযায়,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে হতদরিদ্র ব্যক্তি পরিবারকে ১০ কেজি করে খাদ্য শস্য চাল প্রদানের লক্ষে মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ১১,২৬৭ জন উপকারভোগীর জন্য ১১২.৬৭০ মেঃ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রত্যেক কার্ড ধারীকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তাদেরকে ৮ থেকে ৯ কেজি করে চাল দিয়েছে। কোন প্রকার ওজন মাপার যন্ত্র ছাড়াই একটি লাল প্লাস্টিকের বালতির মাধ্যমে এই চাল মেপে বিতরণ করা হয়। এই চাল বিতরণের সময় ট্যাগ অফিসার উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও চাল বিতরণকালে তাকে দেখা যায়নি।
চাল নিতে আশা হাবিবুর রহমান নামের এক উপকার ভোগী বলেন, আমাকে ১০ কেজির জায়গায় ৮ কেজি ৩০০ গ্রাম চাল দিয়েছে। যেখানে ১কেজি ৭০০ গ্রাম চাল নেই। প্রত্যেক দরিদ্র উপকারভোগীকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া কথা থাকলেও ৮ কেজি করে দেওয়া হয়েছে। বালতিতে মেপে চাল দিয়েছে।
এ ব্যাপারে দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার হারুন অর রশিদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে চাল দেওয়া হবে সে ব্যাপারে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।
দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান বলেন, আমি চাল বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলাম। তবে চাল কম দেওয়ার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে ৫ ইউপি সদস্যের কাছে লিখিত আকারে জানতে চাওয়া হয়েছে। কোন উপকার ভোগী যাহাতে চাল কম না পায় সেজন্য আমি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে সতর্ক করে এসেছি।