কোরবানির ঈদের আর কিছুদিন মাত্র বাকি। ডুমুরিয়া বাজারে এখনই ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পণ্যের দাম উর্ধমূখী। রোজার ঈদের আগে থেকেই সব ধরনের মুরগির মাংসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এই সময়ের মধ্যে হাতে গোনা দুই-একবার ছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম নামেনি দুইশত টাকার নিচে। তবে কয়েখদিন ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম দুইশত টাকার নিচে রয়েছে। কমেছে কক মুরগি ও লেয়ার মুরগির দামও।
এদিকে, বিক্রেতারা বলছেন, কোরবানি ঈদ আসছে বলেই এখন মুরগির দাম কমেছে। অন্যদিকে আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে মুরগির মাংসের দাম কমলেও বেড়ে চলেছে আলু, পেঁয়াজ, রসুনের দাম। বেড়েছে মসলার দামও। কোরবানির ঈদে এসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকায় দাম বাড়ছে। আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা।
ডুমুরিয়া বাজারে বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, কয়েকটি সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে, আবার কমেছেও কয়েকটির। তবে বেশিরভাগ সবজির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। লম্বা বেগুন ৬০, সাদা গোল বেগুন ৬০, কালো গোল বেগুন ৬০, শসা ৬০-৮০, উচ্ছে ৬০, করলা ৬০, কাঁকরোল ৮০, পেঁপে ৫০-৬০, ঢেঁড়স ৬০, পটল ৫০-৮০, চিচিঙ্গা ৬০, ধুন্দল ৫০, ঝিঙা ৬, বরবটি ৬০, কচুর লতি ৮০, কচুরমুখী ১০০-১২০, মিষ্টি কুমড়া ৩০, , কাঁচা মরিচ ২০০, ধনেপাতা ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৪০-৫০। এছাড়া প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। সবজির দাম প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ, রসুনের দাম।
এদিকে সবজির অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ, রসুনের দাম। আজকের বাজারে মানভেদে ক্রস জাতের পেঁয়াজ ৮০, দেশি পেঁয়াজ ৮৫, লাল আলু ৬০, সাদা আলু ৬০, নতুন দেশি রসুন ২২০, চায়না রসুন ২২০-২৩০, চায়না আদা ২৬০, ভারতীয় আদা ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানেই ক্রস জাতের পেঁয়াজের দাম ১০, দেশি পেঁয়াজের দাম ৫, সাদা আলুর দাম ৫, দেশি রসুনের দাম ২০ এবং চায়না রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।
চুকনগর বাজারের আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতা খালেদ বলেন, এখন আর দাম কমার সুযোগ নাই। শুধু দাম বাড়বে। ঈদের আগে পর্যন্ত এমন দামই থাকবে। আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. আমিনুর রহমান বলেন, এখন আর দাম কমার কোনও সুযোগ নেই। এখন শুধু দাম বাড়বে। আরেক বিক্রেতা সালাম বলেন, কোরবানির ঈদের আগে সাধারণত আদা রসুন পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়, এবারও বেড়েছে। কয়েক দিন পরে হয়তো আরও বেড়ে যাবে। নতুন রাস্তা বাজারে বাজার করতে আসা মোঃ ফরহাদ হোসেন সরদার বলেন, রসুনের দাম মনে হচ্ছে প্রতি সপ্তাহে ২০ টাকা করে বাড়ছে। আর হুট করেই আলু-পেঁয়াজের দামও বেড়ে গেলো। কোনও বিশেষ উৎসব সামনে থাকলে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। এটা ঠিক না।
আজকের বাজারে রুই মাছ ৩৪০-৮০০ টাকা, কাতল মাছ ৩৬০-৬০০ টাকা, ইলিশ ১৪০০-১৮০০, রুই ৩৪০-৮০০, কাতল ৩৬০-৬০০, কালিবাউশ ৪৫০-৫০০, চিংড়ি ৯০০-১৩০০, কাঁচকি ৫০০, কৈ ২৬০-৩০০, পাবদা ৪৫০-৫০০, শিং ৪০০-৬৫০, টেংরা ৬৫০-৮০০, বেলে ৬০০-১২০০, বোয়াল ৭০০-১০০০ ও রূপচাঁদা মাছ ১২০০-১৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম আজ কিছুটা কমেছে। কমেছে কক ও লেয়ার মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি ১৮৫-১৯৫, কক ৩১৫-৩৩০, লেয়ার ৩৩৮- ৩৪৫, দেশি মুরগি ৬৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা। লেয়ার মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ৫ থেকে ১২ টাকা এবং কক মুরগির ১০ থেকে ১৫ টাকা। নিউ মার্কেট এলাকার মুরগির বিক্রেতা নাজমুল বলেন, এখন সব ধরনের মুরগির দামই কমেছে। এখন এরকম দামের মধ্যেই থাকবে। তবে ঈদের আগে কিছুটা বাড়তে পারে। বাজারে মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে ডিমের দাম। মুরগির লাল ডিম ১৫০ টাকা এবং সাদা ডিম ১৪০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। লাল ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ৫ টাকা করে।
ডিমের দোকানি শেখ জব্বার বলেন, প্রতিদিনই পাইকাররা ১০ টাকা করে বাড়িয়ে দিচ্ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে সবারই তো সমস্যা। ক্রেতারাও দাম শুনে মাঝে মধ্যে আতকে উঠেন। কিন্তু আমরা তো খুচরা বিক্রেতা। আমাদের হাতে কিছু করার নেই।
https://www.kaabait.com