মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অতিদরিদ্রদের জন্য এই কর্মসংস্থান কর্মসূচি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর পরিচালনা করে থাকে।
জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়নের অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পের আওতায় কাজ করছেন এক হাজারেরও বেশী শ্রমিক। বারইখালী,বহরবুনিয়া,খাওলিয়া সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ের কয়েকজন শ্রমিক এই হ্যাকারদের প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন।
বারইখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আসাদুল,আব্বাস নামের দুজন জানান তাদের মোবাইলে টাকা আসার কিছুক্ষন পর তাদের মোবাইলে কল আসে এরপর তাদের নগদ,বিকাশ নাম্বার বলতে বলে এবং তাদের এই টাকা কিভাবে,কোন অফিস থেকে দিয়েছে,কিসের কাজের টাকা,সব বিস্তারিত বলতে থাকেন হ্যাকার চক্র।এক পর্যায়ে তাদের কাছ থেকে মোবাইলের পিন নাম্বার নিয়ে নেন,পরবর্তীতে তাদের মোবাইলে থাকা পারিশ্রমিকের ৮ হাজারের ও বেশি টাকা তুলে নেন চক্রটি,এই টাকা হারিয়ে পরিবার নিয়ে নিস্ব তারা,তারা ইতিমধ্যে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে জানিয়েছেন। আসাদুল,আব্বাসের মত কয়েকটি ইউনিয়নে এ রকম অনেক শ্রমিক তাদের পারিশ্রমিক হারিয়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যানদের তত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে গ্রামীণ জনপদের রাস্তা সংস্কারের কাজ করে থাকেন এই শ্রমিকরা। বাবইখালী এবং নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদ্বয় জানান, তাদের ইউনিয়নের ২০ জনের মত শ্রমিক এই হ্যাকারদের কবলে পরে পারিশ্রমীক হারিয়েছে, আমরা কতৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিবো।
এ ব্যাপারে মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল জাবির বলেন,আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শ্রমিকদের এই ৪০ দিনের পারিশ্রমিক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করে থাকি,তবে শ্রমিকদের ভুল বুঝিয়ে,লোভনীয় প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকজন শ্রমিকের এই টাকা হ্যাকারচক্র তুলে নিয়ে গেছে বলে শুনেছি, ইতিমধ্যে কয়েকজন শ্রমিকের অভিযোগ পেয়েছি, তবে চেয়ারম্যানদের এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে, বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে জাননো হবে।
https://www.kaabait.com