অভিযোগে জানাগেছে, সানকিভাঙ্গা গ্রামের সরকারি চাকুরে লিয়াকত আলী হাওলাদারের পৈত্রিক ভোগদখলীয় ২৩ শতক জমিতে শনিবার সকালে পরিকল্পিতভাবে একই গ্রামের প্রতিবেশী শিক্ষক কামরুজ্জামান নাসির হাওলাদারের নেতৃত্বে মুহসিনূল ইসলামসহ ২৫/৩০ জন লোক সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে জমির ঘেড়া বেড়া কেটে বিভিন্ন প্রজাতির সবজী ফসলের গাছ কেটে দেয়। এ সময় ওই জমিতে ভেড়িবাধ কেটে তারা মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়।
ক্ষতিগ্রস্ত লিয়াকত আলী হাওলাদারের স্ত্রী রুমিয়া বেগম বলেন, তার স্বামী ও ছেলে সরকারি চাকুরি করার সুবাধে বাড়িতে না থাকায় জমি জমা বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ স্কুল শিক্ষক কামরুজ্জামান নাসির তার লোক জন নিয়ে এসে তাদের জমিতে এ হামলা চালায়। এতে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিস্বাধন করে। ২/৩ দিন পূর্বে থেকে এ ধরনের হামলার আশংকায় ছিলাম। শুক্রবার বিকেলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছি ওই রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। হামলার পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে সকালে থানা থেকে পুলিশ এসে দেখে গেছেন। এদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে। প্রভাবশালীদের ভয়ে এখন নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার পরিজন নিয়ে আতংকে আছি।
এ সর্ম্পকে শিক্ষক কামরুজ্জামান নাসির হাওলাদার তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, দলীল ও এসএ রেকর্ড অনুযায়ী ওই জমির মালিক তারা। সে কারো জমির মাটি কাটেনি। নিজেদের জমির মাটি নিজেরাই কেটেছেন।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের হামলার একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
https://www.kaabait.com