শ্যামনগর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজায় রবিবার ১৩ অক্টোবর বিকালে টাকি নামে খ্যাত সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার খোলপেটুয়া নদীতে হিন্দু ধর্মালম্বীদের দেবী দূর্গা প্রতিমার বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদ উৎসব হয়।গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী,পদ্মপুকুর ও আটুলিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি মন্ডপের প্রতিমা নিয়ে শত শত নৌকা দর্শনার্থীসহ বাদ্য বাজনা সহকারে খোলপেটুয়া নদীতে প্রতিমা বিসর্জনে অংশ নেয়।
এ ছাড়া খোলপেটুয়া নদীর উভয়পাড়ে হাজার হাজার দর্শনার্থী প্রতিমা বিসর্জনে অংশ গ্রহণ করেন। শত শত নারীরা উলু ধ্বনী ও দূর্গা মায়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেবী দূর্গাকে বিসর্জনের জন্য বিদায় জানায়।
খোলপেটুয়া নদীর পাড়ে বুড়িগোয়ালিনী এলাকায় প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে অতিথি হিসাবে অংশ গ্রহণ করেন, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ডা. সঞ্জীব দাশ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: শাহিনুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কৃষ্ণপদ মন্ডল, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, প্যানেল চেয়ারম্যান, জি,এম আব্দুর রউফ, বুড়িগোয়ালিনী ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম, উপকূলীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল হালিম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ডা. সঞ্জীব দাস জানান, দুপুরের পর থেকে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার জন্য প্রত্যেক পূজা মণ্ডপ থেকে প্রতিমা বের করার কাজ শুরু হয়। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা ভ্যান, মিনি ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনযোগে বিসর্জন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরেও উপজেলার বিভিন্ন প্রতিমা, মন্ডপের পার্শ্ববর্তী বড় জলাশয়ে এবং বেশিরভাগ প্রতিমা ঐতিহ্যবাহী খোলপেটুয়া নদীতে নৌকা ও ট্রলার যোগে দূর্গাবাটি, ঝাঁপা, বড় কুপট, কামাল কাটি, নওয়াবেঁকী, বুড়িগোয়ালিনী, আড়পাংগাশিয়া, দুরমুজখালি সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে অন্যান্য স্থানের প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম জানান, কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই বিভিন্ন স্থানের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও সফলভাবে শারদীয়া দুর্গাপূজা উদযাপন এবং বিসর্জন করতে পারায় তিনি বর্তমান সরকার, সরকারি কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, গ্রাম পুলিশ সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শারদীয়া দূর্গা পূজা গতবারের তুলনায় এবার মন্ডপ গুলিতে ছিল দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভীড়।
উপজেলার নকিপুর হরিতলা,ব্রাক্ষ্মণপাড়া মন্ডপ, হরিনগর মন্ডপ,ভেটখালী মন্ডপ সহ অন্যান্য মন্ডপের প্রতিমা নিজস্ব ব্যাবস্থাপনায় নিকটবর্তী স্থানে প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছেন বলে জানা যায়। গত ৯ই অক্টোবর থেকে পূজা শুরু হয় এবং ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ।
https://www.kaabait.com