শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের মেন্দিনগর সরকারি পুকুর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধভাবে দখল করছে ঘোনা গ্রামের মমতাজ উদ্দিন গাজীর ছেলে আলতাফ হোসেন। বিষয়টির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
শ্যামনগর উপজেলার মেন্দিনগর মৌজার এস এ ২৬ ও ৬৭ নং গোনা মৌজার এস এ ১১নং খতিযানে এলাকার খাল,বাধ ও পথ শ্রেনীর সাধারণ ব্যবহার্য সম্পত্তি। প্রজাতন্ত্র আইনের ২০ধারা অনুসারে এর সম্পত্তি সরকারের ১নং খাস খতিয়ানের রেকর্ড হওয়ার বিধান থাকা সত্ত্বেও ভুলবশত প্রাক্তন জমিদারের নামে রেকর্ড প্রকাশিত হয়।
এ সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয় এবং ৫২৩/১৯৮২-৮৩ নং ইজারা কেসে আলতাফ হোসেনকে ইজারা দেওয়া হয়। ইজারা নিয়ে আলতাফ হোসেন উক্ত পুকুরে সার, গোবর সহ রাসানিক দ্রব্য প্রয়োগ করায় পুকুরের পানি মানুষের ব্যবহারের যোগ্য থাকে না।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার শত শত মানুষের স্বাক্ষরিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৎকালীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ হাবিবুল কবির চৌধুরী এলাকার পানি নিস্কাশনের লক্ষ্যে জনস্বার্থে উক্ত খালটি উন্মুক্ত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এরপরে পুকুরটি উন্মুক্ত না হলে এলাকার সাধারণ মানুষ ডিসিআর বন্ধ করা সহ পুকুরটি জনসাধারণের মাঝে উন্মুক্ত রাখার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর দরখাস্ত করেন। তিনি বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তৎকালীন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা তদন্তপূর্বক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন এলাকাটিতে সুপেয় পানির অভাব বিধায় এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসল্লীবৃন্দের সুবিধার্থে খালটি উন্মুক্ত করে সুপ্রিয় তথা ব্যাবহারযোগ্য পানি সংরক্ষণ করার পক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
উক্ত পুকুরটি উন্মুক্ত করা খুবই জরুরী।
এ বিষয়ে কৈখালী ইউনিয়ন বর্তমান দায়িত্বরত সহকারী ভূমি কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার গায়েন বলেন আমি পুকুরটি উন্মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছি কিন্তু আলতাফ হোসেন তা মানছে না। এ বিষয়ে আলতাব হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমার ডিসিআর ছিল। ২০২৫ সালের জন্য পুনরায় নেওয়ার জন্য চেষ্টায় আছি।
https://www.kaabait.com