শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া সোহরাবিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার, আয়া ও নৈশ প্রহরী ৩টি পদে পাতানো নিয়োগ পরীক্ষার বিরুদ্ধে গত ২৪ জুলাই সাতক্ষীরা সহকারী জজ আদালতে বাদী হয়ে দেং ১৬৩/২৪ নং মামালা করেছে নিরাপত্তা কর্মী পরীক্ষা বর্জনকারী রুহুল আমিন।
মামলায় বিবাদী করা হয়েছে নিয়োগকৃত সহ সুপার পদে মাওলানা ফারুক হোসেন, নৈশ প্রহরী পদে সাইফুল ইসলাম, আয়া পদে সুমাইয়া আফরিন সুমি ও মাদ্রাসার কার্যকরী পরিষদের ১১ জন সহ ডিজি প্রতিনিধি,জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এর উপ রেজিস্টারকে বিবাদী করে।
বিজ্ঞ আদালত মামলায় বিবাদিগণকে শোকজ এর আদেশ দিয়েছেন। মামলার বিবরণী জানা যায় দুর্নীতি করে সম্পূর্ণ অনিয়ম তান্ত্রিকভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উক্ত মামলায় নিয়োগ বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছে। নিয়োগের পূর্বেই জানাজানি হওয়া সহ সুপার মাওলানা ফারুক হোসেন, আয়া পদে সুমাইয়া আফরিন সুমি, নৈশ প্রহরী পদে সাইফুল ইসলাম সোহাগ এর নাম। এ নিয়ে পরীক্ষায় আবেদনকারী ৬ ছয় জন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক,মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও সর্বশেষ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ডিজি প্রতিনিধি উপ -পরিচালক আবুল বাসার, বরাবর গত ১২/১৩ জুলাই ৩ জন পরীক্ষার্থী দরখাস্ত প্রদান করেন।
এলাকাবাসী জানায়, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ ১৪ জুলাই শেষ হওয়ায় তারা তড়ি ঘড়ি করে নিয়োগ না দিতে পারলে ঘুষের ১৫/২০ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হতো, তাই তারা তড়িঘড়ি করে এই নিয়োগের কাজ সম্পন্ন করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের ভূমিদাতা পরিবারের সদস্য স্থানীয় আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সালেহ বাবু জানান, আমার দাদা আলহাজ্ব সোহরাব হোসেন মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান করেছিলেন। আমি এই মাদ্রাসার উন্নতি চাই। তবে দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা অর্থের বিনিময়ে কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যক্তি বিষয়ে লাভবান হলেও প্রতিষ্ঠানের কোন লাভ হয়নি। যাদের নিয়ে অভিযোগ উঠেছে তারা নিয়োগ পেয়েছে তাহলে দুর্নীতির অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
https://www.kaabait.com