শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া সোহরাবিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সহ সুপার, আয়া ও নৈশ প্রহরী ৩টি পদে পাতানো নিয়োগ পরীক্ষা ১৩ জুলাই পরীক্ষা তড়িঘড়ি করে মাদ্রাসা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় । প্রথম থেকেই নিয়োগের পূর্বেই জানাজানি হওয়া আয়া পদে সুমাইয়া আফরিন সুমি, নৈশ প্রহরী পদে সাইফুল ইসলাম সোহাগ এর নাম।
এ নিয়ে পরীক্ষায় আবেদনকারী ৬ ছয় জন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক,মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ডিজি প্রতিনিধি উপ -পরিচালক আবুল বাসার বরাবর গত ১৩ জুলাই ৩ জন পরীক্ষার্থী দরখাস্ত প্রদান করেন। এলাকাবাসী জানায়, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ ১৪ জুলাই শেষ।
তারা নিয়োগ না দিতে পারলে ঘুষের ১৫/২০ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হতো। অভিযোগ ছিল মাদ্রাসাটির সুপার মোঃ আশরাফ হোসাইন এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জিএম আলতাব হোসেন নৈশ প্রহরী ও আয়া দুই পদে নিয়োগে শুরু থেকেই দুর্নীতির আশ্রয় নেয় । দুই পদ চূড়ান্ত করে নিয়োগ পরীক্ষায় কে কে চাকরি পাচ্ছেন তা এলাকার ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত নিয়োগ পরীক্ষায় সাইফুল ইসলাম সোহাগ ও সুমাইয়া আফরিন সুমি নিয়োগ পেয়েছেন। এ থেকে বোঝা যায় নিয়োগ পরীক্ষা পাতানো ছিল।
সুমাইয়া আফরিন সুমি মাদ্রাসার সভাপতি জিএম আলতাব হোসেনের ভাগনী।
এছাড়া নৈশ প্রহরী পদে পূর্ব সাইফুল ইসলাম সোহাগের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা উৎকোচ নেয়া হয়েছে। মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আশরাফ হোসাইন, সভাপতি জিএম আলতাব হোসেন জানান, সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষার পূর্বে যাদের নাম শোনা গিয়েছিল তারাই কিভাবে নিয়োগ পেল? এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন যারা পরীক্ষায় ভালো করেছে তারা এই নিয়োগ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ভূমিদাতা পরিবারের সদস্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সালেহ বাবু জানান, আমার দাদা আলহাজ্ব সোহরাব হোসেন মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান করেছিলেন। আমি এই মাদ্রাসার উন্নতি চাই। তবে দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা অর্থের বিনিময়ে কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে। এতে ব্যক্তি বিষয়ে লাভবান হলেও প্রতিষ্ঠানের কোন লাভ হয়নি। যাদের নিয়ে অভিযোগ উঠেছে তারা নিয়োগ পেয়েছে তাহলে দুর্নীতির অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ বিষয়ে ডিজি প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল বাসার সাহেবের ০১৭১০ ৪৫৬৪২১ নম্বরে বার বার কল দিয়ে ফোনটি রিসিফ না করায় তার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হলো না।