• রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৭:২৭
সর্বশেষ :
প্রতিবন্ধী স্কুল ও পূনর্বাসন কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তুর উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাক আহমেদ দেবহাটায় এনসিসি ব্যাংকের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সুন্দরবনে বিজিবির ‘বয়ের সিং ভাসমান বিওপি’ ক্যাম্প উদ্বোধন আর কি করলে ফাঁদে ফেলা যায় খাদ্য কর্মকর্তাকে! দেবহাটায় মহানবী (সঃ) সম্পর্কে কটুক্তি মাম লায় আ টক ১ মিশা সওদাগরকে ‘মারধরের’ ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল! আদালতের আদেশ অমান্য করে ক্রয়কৃত জমিতে লাল ফ্লাগ উত্তোলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন দেবহাটা সরকারি কেবিএ কলেজের আকবর আলী’র বিদায় সংবর্ধনা দেবহাটায় জুলাই গনআন্দোলনে আহত ২জন যোদ্ধাকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান তালায় বাল্যবিবাহে নিষেধাজ্ঞা জারি

শ্রীলঙ্কা সিরিজে এগিয়ে

প্রতিনিধি: / ১৬২ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪

স্পোর্টস: সিলেট টেস্টে বাংলাদেশকে ৩২৮ রানে উড়িয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এগিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানরা জয়ের পথ তৈরি করে ফেলেছিল আগের দিনই। ৫ উইকেটে ৪৭ রান নিয়ে সোমবার চতুর্থ দিন শুরু করা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত অলআউট হয় ১৮২ রানে। দলের প্রায় অর্ধেক রান আসে মুমিনুলের ব্যাট থেকেই। লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে লড়াই করে সেঞ্চুরির আশাও জাগিয়েছিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তবে সঙ্গীর অভাবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১২ চার ও ১ ছক্কায় ৮৭ রান করে। শ্রীলঙ্কার কাসুন রাজিথা ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৫৬ রানে নেন ৫ উইকেট। টেস্টে আগে একবারই ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি। সেটিও ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষেই, ২০২১ সালে মিরপুরে ৬৪ রানে ৫ উইকেট। চতুর্থ দিনের শুরুতেই বাংলাদেশ হারায় নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলামকে। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন মুমিনুল। ৬৬ রান যোগ করেন দুজন, ম্যাচে যা বাংলাদেশের একমাত্র অর্ধশত রানের জুটি। মিরাজকে ৩৩ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রাজিথা। শরিফুল ইসলামকে নিয়ে পরে আবার কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে ৪৭ রান যোগ করেন মুমিনুল। বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতেও দারুণ কিছু শট খেলেন তিনি। তাইজুল ও মিরাজের পর শরিফুলের উইকেটও শিকার করেন রাজিথা। পরের বলেই সৈয়দ খালেদ আহমেদকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন ৩০ বছর বয়সী পেসার। এরপর স্রেফ দেখার ছিল, মুমিনুল শতরান করতে পারেন কি না। একপ্রান্ত থেকে চেষ্টা করে গেছেন তিনি। কিন্তু বেশি সময় টিকতে পারেননি শেষ ব্যাটসম্যান নাহিদ রানা। সেঞ্চুরি থেকে ১৩ রান দূরে থমকে যেতে হয় মুমিনুলকে। টেস্টে রানের হিসেবে এর চেয়েও বড় পরাজয় অবশ্য ৫টি আছে বাংলাদেশের। সবচেয়ে বড় ৪৬৫ রানের হার লঙকানদের বিপক্ষেই, ২০০৯ সালে চট্টগ্রামে। শ্রীলঙ্কার তিন পেসার মিলেই নিয়েছেন ম্যাচে বাংলাদেশের ২০ উইকেট। ৮ উইকেট শিকার করেন রাজিথা, ভিশ্ব ফার্নান্দোর উইকেট ৭টি, লাহিরু কুমারার ৫টি। তবে বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সের ম্যাচে বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে দুই ইনিংসেই ধানাঞ্জায়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের সেঞ্চুরি। জোড়া শতরানের সঙ্গে নেতৃত্ব মিলিয়ে ম্যাচের সেরা ধানাঞ্জায়া। সিরিজের শেষ টেস্ট চট্টগ্রামে শুরু শুক্রবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২৮০
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৮৮
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ৪১৮
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৫১১, আগের দিন ৪৭/৫) ৪৯.২ ওভারে ১৮২ (মুমিনুল ৮৭*, তাইজুল ৬, মিরাজ ৩৩, শরিফুল ১২, খালেদ ০, রানা ০; ভিশ্ব ১৫-৫-৩৬-৩, রাজিথা ১৪-১-৫৬-৫, কুমারা ১১.২-১-৩৯-২, জায়াসুরিয়া ৯-১-৩৭-০)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ৩২৮ রানে জয়ী।
সিরিজ: দুই ম্যাচ সিরিজে শ্রীলঙ্কা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ: ধানাঞ্জায়া ডি সিলভা।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com