গতকাল একটা সুপারশপ এ মাংসের কিমা কিনতে গিয়ে দেখছি একজন মুরগী কিনছেন। উনাকে সাধারণ মানের কাগজের প্যাকেট এ মুরগি দেওয়া হচ্ছে। ডাক্তার হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন করতে হলো এটা কেন করছেন? চোখের দেখাতেই বুঝতে পারছিলাম এই কাগজের কণা মাংসে চলে যাবে। ওদিকে মাংসের কিমার জন্য ও নাকি একই ব্যবস্থা। কিমা তো ধোয়া যায়না পানিতে। বুঝতেই পারছেন আমার অবস্থা!
জানানো হলো অন্য কিছুতে (মানে পলিথিন) দেওয়া যাবেনা, এটাই নির্দেশ। ভালো কথা নতুন নির্দেশ। ভালো ভেবেই হয়তো করা হয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশ বাস্তবায়নের তো কিছু পূর্বপ্রস্তুতি, প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
ঢাকার গুলশান এর একটা সুপারশপ এর দশা যদি এই হয়, তাহলে আমাদের দেশের আনাচে কানাচে কি হচ্ছে? ব্যবহৃত পত্রিকার কাগজ দিয়ে তৈরি প্যাকেট এও নিশ্চয় কাঁচা মাংস দেওয়া হচ্ছে। এতে বাচ্চারা সহ অনেকে পেটের পীড়ায় ভুগবে
আমরা হয়তো জানতে বা বুঝতে পারবোনা। আমাদের দেশে অনেক নিয়ম আছে, আইন আছে। অনেক ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন নেই। আবার অনেক সময় যখন বাস্তবায়ন হয়, বাস্তবায়ন শুরুর আগে, এর জন্য পূর্বপ্রস্তুতি, প্রশিক্ষণ, জনসচেতনতা নেই, ফলে আইন এর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এর সুফল পায়না। আমি আশা করবো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে একটু মনোযোগ দেবেন।
কারণ এই সুযোগে অনেক শপে নিম্নমানের কাগজের বা পাটের তৈরি ব্যাগ তৈরি করে উচ্চদাম (৬০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত) রেখে ব্যবসা করছেন, যেটা এই দুর্মূল্যের বাজারে সাধারণ মানুষের জন্য যথেষ্ট কষ্টসাধ্য।
https://www.kaabait.com