বিনোদন: টালিউডের বায়োপিক কিং নামে ইতিমধ্যেই খ্যাতি অর্জন করেছেন নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। জনপ্রিয় এই নির্মাতা না কি এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বায়োপিক বানাবেন এমন খবরই শোনা যাচ্ছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সত্যিই সৃজিত মুখোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বায়োপিক বানাচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কিছু পরিস্কার করেননি। তবে স¤প্রতি শিবম দাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাকে বলতে শোনা যায়, মমতার জীবন নিয়ে খুব ভালো সিনেমা হবে। সৃজিতের কথায়, তিনি শুধু নিজের ভালো লাগার জন্য সিনেমা বানাই। কারণ একেক দর্শকের পছন্দ একেকরকমের। ছোটবেলা থেকে যেগুলো পড়ে এসেছেন, সেই ভালোলাগার জায়গাগুলোকে ফুটিয়ে তোলেন সিনেমার পর্দায়। ফেলুদা পড়তে ভালো লাগত তাই বানিয়েছেন দার্জিলিং জমজমাট-ছিন্নমস্তার অভিশাপ। বানিয়েছেন মিশর রহস্য, কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন। জুলিয়েট-সিজারকে ফুটিয়ে তুলেছেন জুলফিকারে। ছোটবেলার ভালোলাগার উদযাপনেই তার সিনেমা বানানো। আর এরপরই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে বায়োপিকের কথা উঠলে, সৃজিত বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা। সঙ্গে জ্যোতি বসুরও নাম নেন তিনি, উঠে আসে চারু মজুমদারের নামও। সঙ্গে স্বগোক্তি করে বলেন, বায়োপিক বানানোর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, ছবিতে সব সত্যি দেখানো যায় না। কিছু অধ্যায় চেপে যেতে হয়। তবে খুব জলদি মৃণাল সেনের বায়োপিক আনবেন পর্দায় সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সেই কথাও এল পরিচালকের মুখে। বললেন, ‘আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে কুণাল দা, মৃণাল সেনের ছেলে আমাকে বলেছে যে উনি খুব বিখ্যাত মানুষ ছিল ঠিকই কিন্তু ওকে ভগবান বানিও না। তোমার যদি পড়ে মনে হয় ওর কোনো কিছু খারাপ ছিল সেটাও দেখিও। আমি তাই করেছি আমার ছবিতে। এই স্বাধীনতাটা আমি উপভোগ করেছি।’ সবশেষে সৃজিত জানান, তিনি নিজের সিনেমা বানানোর সময়ে এমন পরিবেশ চান, যেখানে শেষ বক্তব্য থাকবে তারই। কেউ নাক গলাবে না, স্ক্রিপ্টে কী থাকবে বা না থাকবে। আর তাই বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতার বায়োপিক বানানোর অফার তার কাছে এলেও, হাতে নেননি। ২০২৩-এর পুজোতে টালিউডে যে চারটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল, তারমধ্যে সর্বাধিক আয় ছিল সৃজিতের ‘দশম অবতার’।
https://www.kaabait.com