• বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১৫
সর্বশেষ :
God Mode pour Windows 10 ➤ Accédez facilement à tous les réglages Bluetooth Driver for Windows 10 ➤ Téléchargez et Installez Facilement সরকারি জমি দখল করে আওয়ামী লীগ নেতা রফিক খানের মার্কেট নির্মান; দ্রুত উচ্ছেদের দাবী আশাশুনিতে হ ত্যা মামলার আসামী ডাবলুসহ তার বাহিনীকে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন  বগুড়ায় সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা খুলনায় গ্রান্ট উইন্ডোর গবেষণা কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ক মতবিনিময় বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খু ন সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হ ত্যা নওগাঁ মান্দায় কৃষক হ ত্যা’র দায়ে ২৬জনের যাবজ্জীবন কা রা দ ন্ড দুঃশাসনের কবল থেকে দেশ ও জাতি মুক্ত হয়েছে : সাবেক সংসদ মোশারফ হোসেন বৃহত্তর বগুড়া সমিতির আহ্বায়ক মুকুল, সদস্য সচিব টিটু

৫টি সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট

প্রতিনিধি: / ১০৭ দেখেছেন:
পাবলিশ: শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪

আইটি: ফ্রিল্যান্সিং সাইট বা মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানা থাকলে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা খুব সহজেই এই খাত থেকে আয় করতে পারেন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপরিচিত বা অজনপ্রিয় সাইটগুলোতে প্রবেশের ফলে অভিজ্ঞতার ভিড়ে নতুনরা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগেই হারিয়ে যান। ঘরে বসে টাকা আয় করার জন্য এখন সবচাইতে জনপ্রিয় মাধ্যম ফ্রিল্যান্সিং। যে কোনো বয়সের মানুষের জন্য কোনো আলাদা বিনিয়োগ ছাড়াই এই আয় বর্তমান সময়ে অনেকটা স্বস্তির। তবে যে হারে এখন ফ্রিল্যান্সার এবং ফ্রিল্যান্সিং সাইট তৈরি হয়েছে, তাতে নতুনদের জন্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, পিপল পার আওয়ার এবং গুরু ডট কম এমন ৫টি ফ্রিল্যান্সিং সাইট যা নতুনদের জন্য মার্কেটপ্লেস হিসেবে খুবই উপযুক্ত। নির্ভরতার দিক থেকে এবং সেবার মানের জন্য অধিকাংশ অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সাররা এই ৫টি সাইটকে নতুনদের ব্যবহারের উপযোগী বলে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
আপওয়ার্ক
আপওয়ার্কে মূলত দুই ধরনের কাজ পাওয়া যায়। ঘন্টাভিত্তিক এবং মূল্যভিত্তিকভাবে এই কাজগুলোর কন্ট্রাক্ট হয়ে থাকে। এই সাইটে কেউ কোনো কাজ ঘন্টাভিত্তিকভাবে করলে ক্লায়েন্টপ্রতি ঘন্টার নির্দিষ্ট রেট অনুযায়ী কাজের জন্য অর্থ পরিশোধ করে থাকেন। আর মূল্যভিত্তিক হলে কাজের জন্য নির্দিষ্ট চুক্তি অনুযায়ী ক্লায়েন্ট অর্থ পরিশোধ করেন। তবে এক্ষেত্রে কোনো একটি জব বিড-এর জন্য আপওয়ার্ক নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বা ফি নিয়ে থাকে। এছাড়াও পেমেন্টের ৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ এই সাইটকে ফি দিতে হয়। তবে বিনা ঝামেলায় ব্যাংক ট্রান্সফার, পেপাল, পেওনিয়ার, ডিরেক্ট ডিপোজিট ইত্যাদির মাধ্যমে ফি ছাড়া পেমেন্টের টাকা উত্তোলন করতে পারেন ফ্রিল্যান্সাররা। মাইক্রোসফট থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন নামীদামী প্রতিষ্ঠানও আপওয়ার্কের ফ্রিল্যান্সার দিয়ে বিভিন্ন কাজ করিয়ে থাকে। আপওয়ার্কের কাজের পরিমাণ অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। তাই দক্ষতা থাকলে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এখানে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার থেকে শুরু করে কাস্টমার সার্ভিসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আপওয়ার্ক মূলত ওডেক্সের পূর্বসূরী। ওডেক্স ১৯৯৮ সালে সর্বপ্রথম কোনো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হিসেবে বিশ্বে হাজির হয়। ২০১৫ সালে ওডেক্স পরিবর্তিত নামে বাজারে আসে আপওয়ার্ক হিসেবে।
ফাইভার
অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের মতো যেকোনো কাজে বিড করার জন্য ফাইভারকে কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হয় না। তাই একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের জন্য খুবই দারুণ এবং সুবিধাজনক একটি সাইট এটি। কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডিজাইন থেকে শুরু করে প্রায় সব ক্ষেত্রেরই ছোট-বড় কাজের সুবিধা রয়েছে এতে। নতুনদের জন্য ফাইভারকে উপযুক্ত ভাবার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই সাইটে সাধারণত ক্লায়েন্টরা সস্তায় কাজ করিয়ে থাকেন। তাই নতুনদের এইখানে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ২০১০ সাল থেকে বাজারে ফাইভার বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সারদের, বিশেষ করে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সবচাইতে জনপ্রিয় সাইট হয়ে দাঁড়ায়। ফাইভ ডলার বা পাঁচ ডলার ব্যয়েও এখান থেকে যে কোনো কাজ করিয়ে নেয়া যায় এমন তত্তে¡ এই সাইটের উৎপত্তি হয়।
ফ্রিল্যান্সার ডট কম
সফটওয়ার, মোবাইল ডেভেলপমেন্ট, ডিজাইন থেকে শুরু করে কপিরাইটিংসহ নতুনদের জন্য অপ্রতুল কাজ রয়েছে এই সাইটে। আপওয়ার্কের মতো ঘন্টাভিত্তিক ও চুক্তিভিত্তিক কাজের পাশাপাশি এখানে রয়েছে প্রতিযোগিতাভিত্তিক কাজ। এই কাজের পদ্ধতি নতুনদের জন্য চমকপ্রদ। ক্লায়েন্ট একটি নির্দিষ্ট অর্থ পুরষ্কার ঘোষণা করে কাজ ছেড়ে দেয় মার্কেটে। সব ফ্রিল্যান্সার তাদের কাজগুলো নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে জমা দেয়ার সেখান থেকে সবচেয়ে ভালো কাজকে বাছাই করে পেমেন্ট বা অর্থ পুরস্কার দেন ক্লায়েন্ট। ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করা অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠানটি বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সার উভয়ের কাছেই বেশ গ্রহণযোগ্যতা পায়। বিভিন্ন দেশের প্রায় ৪০ লক্ষাধিক ফ্রিল্যান্সার এই সাইটে কাজ করে থাকেন।
পিপল পার আওয়ার
এই সাইটে ডিজাইন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং থেকে শুরু করে বিজনেস সাপোর্টের সব ধরনের কাজ করা যায়। মার্কেটপ্লেসটিতে কাজ বিড করার পাশাপাশি সার্ভিস সেল করেও কাজ পাওয়া যায়। সার্ভিস সেল হচ্ছে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ওপর নিজের ব্যাপারে পোষ্ট করা। পোষ্টের মধ্যে যে কোনো কাজের জন্য কাঙ্ক্ষিত অর্থমূল্যও নির্ধারণ করে দেয়া যায়। এই মার্কেটপ্লেসে কাজের রেট অনেক বেশি, তাই অনেকেই এখন কম সময়ে বেশি আয় এবং সুযোগ-সুবিধার ওপর নির্ভর করে এই মার্কেটপ্লেসকে বেছে নেন। ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই মার্কেটপ্লেসটি।
গুরু ডট কম
এই সাইটের ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত নির্ধারিত ক্ষেত্রে বেশি কাজ করে। কারণ সাইটটিতে প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড আর্কিটেকচার, সেলস এন্ড মার্কেটিং গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, রাইটিং এই জাতীয় ক্ষেত্রের চাহিদা বেশি। সেইসঙ্গে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও বিষয়ক কাজের চাহিদা এবং পরিমাণ অন্যসব সাইটের তুলনায় অনেক বেশি। এই সাইটে ফ্রিল্যান্সররা গ্রæপ হয়ে কাজ করতে পারেন। সাধারণত বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রজেক্ট এইখানে পাওয়া যায়; ফলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু-বান্ধবরা একসঙ্গে কাজ করে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করতে পারেন। পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গে ১৯৯৮ সালে মুনলাইটার ডট কম নামে যাত্রা শুরু করে এই ফ্রিল্যান্সিং সাইটটি।

 


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com