• বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪৬
সর্বশেষ :
তালায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২৫ উদযাপন দেবহাটা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা ডুমুরিয়ায় গ্রীষ্মকালীন খেলাধুলার প্রস্তুতিমূলক সভা মানষিক ভারসাম্যহীন মফিজুল ৩দিন ধরে নি’খোঁ’জ! যুবদলনেতা শামীম হ’ত্যার ঘা’ত’ক স্ত্রী বৃষ্টি ও শালক গ্রেফতার তালা হাসপাতালে রোগী নেওয়ার নাম করে ভ্যান চু’রি ব্রিটিশ শাসনামল ১৮৬৭সালে প্রতিষ্ঠিত পৌরসভা আবারো ফিরে পাওয়ার দাবী কালিগঞ্জে ধুলিয়াপুর হাইস্কুলে দু’র্নী’তি প্রতিরোধ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রে’ফ’তা’র শ্যামনগরে নদীর চর দ’খ’ল করে গড়ে তোলা রিসোর্ট উচ্ছেদ করলো প্রশাসন

এলাবাসীর উদ্যোগে হাড়কাটার ফাঁকা বিলের মাঝে মসজিদ নির্মাণ

মো: আল মামুন / ১৫৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের হাড়কাটার জামতলায় গত ২৪ সালে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে ফাঁকা বিলের মাঝে নির্মিত হয়েছে একটি সুন্দর মসজিদ। যেখানে রয়েছে অজুখানাসহ টিউবওয়েল। দীর্ঘদিন ধরে ওই স্থানে ধর্মীয় উপাসনার কোনো স্থান না থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে এই উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ সৃষ্টি হয়।

 

স্থানীয়রা জানান, বছরের অধিকাংশ সময় ফাঁকা থাকা এই বিলে আশপাশের গ্রামের পথচারী, ঘের ব্যবসায়ী, কৃষক ও বিভিন্ন পেশার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। নামাজের সময় হলে অনেকেই বিপাকে পড়তেন। বিশেষ করে গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে দূরের পথ চলা মানুষজন নামাজ আদায়ের পাশাপাশি একটু জিরিয়ে নেওয়ার মতো স্থানের অভাব বোধ করতেন।

 

আরো পড়ুন – সুন্দরবনের চুনকুড়ি নদী থেকে আহত কচ্ছপ উদ্ধার করে অবমুক্ত

 

এই প্রয়োজনীয়তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে জমি নির্ধারণ, অর্থ সংগ্রহ ও শ্রম দিয়ে মসজিদ নির্মাণ শুরু করেন। এই কাজে এলাকার যুব সমাজ থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, কৃষক, কর্মচারী, ঘের মালিক সবাই একসঙ্গে অংশ নেন। সরকারি কোনো অনুদান ছাড়াই, সম্পূর্ণ স্থানীয়দের অনুদান ও পরিশ্রমেই জামতলার এই মসজিদটির কাজ সম্পন্ন হয়।

 

মসজিদের কার্যকারিতা নিয়ে পথচারী ফারুক হোসাইন বলেন, প্রতিনিয়ত কাজের প্রয়োজনে আমি এই রাস্তা দিয়ে যাই। আগে নামাজ পড়ার জায়গা পেতাম না। এখন এখানে এসে অজু করে নামাজ পড়তে পারি, আল্লাহর রহমতে অনেক শান্তি পাই। জায়গাটা এখন শুধু ইবাদতের না, মানসিক প্রশান্তিরও।

 

কৃষক রুবেল সরদার বলেন, বিলে কাজ করতে করতে যখন আযান শুনি, তখন এই মসজিদে এসে নামাজ পড়ি। আগের মতো আর দূরে যেতে হয় না। আমাদের জন্য এটা বড় নেয়ামত।

 

ঘের ব্যবসায়ী মো: রনি বলেন, প্রায় সময় ঘেরে কাজ করি। দুপুরে রোদে ক্লান্ত হয়ে গেলে এই মসজিদেই বসি, পানি পান করি। কখনো কল্পনাও করিনি এখানে কেউ মসজিদ বানাবে, এখন দেখি সবাই একসাথে মিলেই বানিয়ে ফেলেছে। গর্ব হয়!

 

এলাকাবাসী জানান, মসজিদকে ঘিরে এখানে ২টা দোকানও বসেছে। মসজিদটি খুব ছোট হলেও সময় মত সালাত আদায় করা যায়।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com