• শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৩
সর্বশেষ :
ওসমান হাদি হত্যা : জবানবন্দি দিলেন প্রধান প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক তারেক রহমানের সমাবেশ ঘিরে এ আই ছবির ছড়াছড়ি ব্রক্ষ্মরাজপুর পুলিশ ফাড়িতে হামলা মামলায় ৩জন গ্রেপ্তার জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন সাকিব ! আশাশুনির তালবেড়িয়ায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ দেবহাটায় ফেয়ার মিশনের উদ্যোগে ৩দিনব্যাপী বই মেলার উদ্বোধন করলেন ইউএনও জামায়াতের দিকেই ঝুঁকছে এনসিপি, আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত শ্যামনগরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে বিপুল পরিমান ভারতীয় মদ জব্দ বেতনা নদী খননের মাটি লুটপাটে পুলিশের বাঁধা : হামলায় আহত দুই পুলিশ সদস্য : থানায় মামলা তারেক রহমানের সফরসঙ্গী যারা

খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের চলাচলের অনুপযোগী, ঝুঁ’কি নিয়ে চলছে যানবাহন

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া, খুলনা প্রতিনিধি / ২৭৬ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫

খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক। প্রতি কিলোমিটারে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে পুননির্মাণ করা হয় সড়কটি। অথচ এত ব্যয়বহুল এই সড়কটি এখনই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জিরো পয়েন্ট থেকে কৈয়া পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় সড়কের বেহাল অবস্থা যান চলাচলকে করছে ঝুঁকিপূর্ণ।

 

বিভিন্ন স্থানে উঠে গেছে বিটুমিন, তৈরি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। কোথাও কোথাও পিচ সরে গিয়ে ঢিবি হয়ে আছে, অনেক জায়গায় সড়ক ডেবে গেছে। এমনকি কিছু জায়গা হয়েছে ঢেউয়ের মতো। চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কিছু স্থানে ইট বিছিয়ে সাময়িক সলিউশন নেওয়া হলেও তা কোনোভাবেই স্থায়ী সমাধান নয়।

 

সড়কটির দৈর্ঘ্য ৬৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে খুলনার অংশ পড়েছে ৩৩ কিলোমিটার, যা শুরু হয় জিরো পয়েন্ট থেকে ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারোমাইল পর্যন্ত। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের তথ্যানুযায়ী, মহাসড়কটির প্রশস্তকরণ ও পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে এবং শেষ হয় ২০২০ সালের জুনে। এর পর থেকেই স্থানীয়দের মধ্যে সড়কের নির্মাণমান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নির্মাণের এক বছরের মধ্যেই উঠে যেতে শুরু করে বিটুমিন।

 

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)র ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি খান মহিদুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পণ্য পরিবহন হচ্ছে এই রাস্তায়। অতিরিক্ত ভারী যানবাহন চলাচল এবং নিম্নমানের নির্মাণকাজ মিলিয়ে সড়কটির এই করুণ অবস্থা হয়েছে। বর্তমানে এটি যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। যাত্রীরা পড়ছেন চরম দুর্ভোগে।

 

এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তানিমুল হক বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। অথচ সড়কটি যে ধরনের ফাউন্ডেশনে নির্মাণ করা হয়েছিল, তা এত ভার বহন করতে সক্ষম নয়।

 

উল্লেখ্য ডাক্তার জামিনুর রহমান বলেন মটরবাইক, সি এন জি, ইজি বাইকসহ ছোট ছোট যানবাহনে করে যাত্রীদের বড় বড় গাড়ী গুলো চাকার অপরিষ্কার ময়লা পানি সিটে যেয়ে ভদ্রলোকদের কাপড় ময়লা করে দিচ্ছে।

 

এতে করে ছোট ছোট গাড়ির যাত্রীগুলো সীমাহীন দুর্ভাগ হতে হচ্ছে।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com