• মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩০
সর্বশেষ :
বালিথায় গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে এক ব্যক্তির আ’ত্ম’হ’ত্যা শ্যামনগরে কপ৩০ পূর্ববর্তী আঞ্চলিক সংলাপ অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ু পদক্ষেপে নতুন প্রত্যাশা কে’য়া’ম’তের দিন মানুষ নিজের তিন পাশে যা দেখতে পাবে তালার মাগুরা ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন আশাশুনিতে দৈনিক সাতক্ষীরার সকালের ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন জুলাই সনদের ভিত্তিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার শিক্ষকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব ফয়জুল্যাপুর ফ্রেন্ডস ক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন ধানদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন

ডুমুরিয়ার নিম্নআয়ের মানুষের জীবনে গরমের তীব্রতায় নেমেছে ভোগান্তি

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া, খুলনা প্রতিনিধি / ৯৭ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫

সারাদেশে বইছে তাপপ্রবাহ। জেলা, উপজেলা শহরগুলোতে তাপপ্রবাহের এর প্রভাব পড়েছে ব্যাপক। যার ফলে অফিসগামী মানুষ, দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষের জীবনে গরমের তীব্রতায় নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি।

 

গরমে শ্রমজীবী ডুমুরিয়ার মানুষ হু হু করে বাড়ছে দেশের তাপমাত্রা। বিগত কয়েকদিন দেশের অধিকাংশ এলাকায় বইছে তাপপ্রবাহ। কোথাও মৃদু, কোথাও মাঝারি আবার কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছেখুলনা জেলাসহ সারা দেশর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রবিবার খুলনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

 

অন্যদিকে, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা ৩৮-৩৯.৫ ডিগ্রি হলে সেটাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়।

 

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রার এ ঊর্ধ্বগতি শনিবার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯.৫ ডিগ্রি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে। তবে সোমবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।

 

রবিবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জীবিকার তাগিদে তীব্র রোদে কাজ করতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষদের। বাইরে কাজ করা শ্রমজীবী মানুষেরা তীব্র রোদে কেউ ছায়া খুঁজছেন, কেউ পান করছেন ঠান্ডা শরবত।

 

বালিয়া খালি ব্রিজে কথা হয় ভ্যান‌চালক শাহজাহান আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, সূর্য উঠার পর থেকেই গরমের তীব্রতা বাড়ছে। একটু পথ চলতেই ঘামে গোসল, গলা শুকিয়ে আসছে। বেশিক্ষণ ভাড়া টানতে পারি না। কিন্তু দিন শেষে ভ্যান মালিককে জমার টাকা দিতে হবে, তাই এখনো রাস্তায় আছি। এভাবে টানা গরম পড়লে আয় রোজগার কমে যাবে আমাদের। তাই ক্লান্ত হলেও জিরিয়ে জিরিয়ে ভ্যান চালাচ্ছি।

 

একই জায়গায় কথা হয় ভ্যানচালক মস্তোফার সঙ্গে। তিনি বলেন, চুকনগর থেকে মালামাল নিয়ে যাচ্ছি খুলনায় এই গরম খুব কষ্ট দিচ্ছে। ভ্যানে তো সবসময় ভাড়া পাই না যে রাতে চালাবো। গাড়ি নিয়ে না বের হলে পেট তো চলবে না। গতকাল শনিবার সকাল থেকেই খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কে মানুষের উপস্থিত তুলনামূলক কম। প্রচণ্ড গরমে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না কেউ। আবহাওয়াবিদ জানান, মঙ্গলবার দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com