• মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৭
সর্বশেষ :
বালিথায় গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে এক ব্যক্তির আ’ত্ম’হ’ত্যা শ্যামনগরে কপ৩০ পূর্ববর্তী আঞ্চলিক সংলাপ অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ু পদক্ষেপে নতুন প্রত্যাশা কে’য়া’ম’তের দিন মানুষ নিজের তিন পাশে যা দেখতে পাবে তালার মাগুরা ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন আশাশুনিতে দৈনিক সাতক্ষীরার সকালের ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন জুলাই সনদের ভিত্তিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার শিক্ষকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব ফয়জুল্যাপুর ফ্রেন্ডস ক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন ধানদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন

ডুমুরিয়ায় ৮৪৫ হেক্টর জমিতে ডায়াবেটিক ধানের বাম্পার ফলন

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া, খুলনা প্রতিনিধি  / ১৬৮ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
ডুমুরিয়ায় ৮৪৫ হেক্টর জমিতে ডায়াবেটিক ধানের বাম্পার ফলন

খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের টিপনা ব্লোকের বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনিস্টিটিউট উদ্ভাবিত ‘ডায়াবেটিক ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন জানান বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনিস্টিটিউটে বিগত ৬ বছরের অধিক সময় ধরে বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে ২০২৩ সালের ২ মার্চ, বোরো মৌসুমের জন্য উচ্চ-ফলনশীল স্বল্প গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জি.আই) বা ‘ডায়াবেটিক ধান’ ব্রি- ধান ১০৫ সারাদেশে চাষাবাদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের টিপনা ব্লাকের স্মার্ট কৃষক শেখ মনজুর রহমান সম্পূর্ণ নতুন জাতের এই ধান চাষের জন্য তার বীজতলায় ১০৫ জাতের ১০ কেজি ধান বপন করেন।

অন্যান্য বোরো ধান চাষের মতো সকল প্রকার সার দিয়ে তার ১ একর ১০০ শতাংশ জমি প্রস্তুত করে গত ১৫ জানুয়ারি, ৩০ দিন বয়সি সেই ধান- পাতাগুলো রোপন করেন। ৩ মাসের মধ্যে খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের পাশে সেই ক্ষেতে উচ্চ-ফলনশীল ১০৫ জাতের ধানের বাম্পার ফলন দেখতে আগ্রহী কৃষক ও কৃষিবিদরা জড়িত হচ্ছেন।

ঐ ধানক্ষেতে গেলে অত্যন্ত আনন্দচিত্তে কৃষক শেখ মন্জুর রহমান বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার ইনসাদ ইবনে আমিনের পরামর্শে ও তাদের দেওয়া সকল প্রকার সার-বীজ নিয়ে আমি ব্রি ১০৫ জাতের ধান চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি।

অন্যান্য জাতের বোরো ধানের মতোই চাষাবাদ করেছি। তবে এ ধানে ১ বার পানির সেচ বেশি দিতে হয় এবং ১ সপ্তাহ পরে কাটতে হয়। তবে ঝড়েও এ ধান গাছ পড়ে না। তিনি সকলের সামনে একটা ধানের বাইল এনে তাতে ২১০টি ধানের দানা গুণে দেখিয়ে বলেন, অন্যান্য অন্যান্য বোরো ধানের বাইলে সাধারণত ১৫০টি দানা। দানা হয়, অর্থাৎ এই ধানের ফলনও বেশি।

ওই সময় উপস্থিত পার্শবর্তী বিল পাবলা শিশির কুমার মন্ডল গ্রামের চাষি জানান, ডায়াবেটিক ধানের ফলন যেহেতু ভালো দেখছি, তাই আগামিতে আমরাও এই ধান চাষ করবো। ‘ডায়াবেটিক ধান’ বা ব্রি-ধান ১০৫’র বৈশিষ্ট প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনিস্টিটিউট থেকে বলা হয়েছে, এই ধানের গুনগত মান ভালো, চালের আকৃতি মাঝারি চিকন। এর জিআই’র মান ৫৫ হওয়ায়, এটাকে লো-জিআই ধান বা ডায়াবেটিক রাইস বলা যায়। অন্যান্য জাতের তুলনায় এর ফলনও বেশি। ১ থেকে ২০ অগ্রহায়নের মধ্যে পাতা ফেলা ও তার ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে রোপন করতে হবে। এর জীবনকাল ১৫০ দিন।

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অতিরিক্ত অফিসার ওয়ালিদ হোসেন বলেন, অন্যান্য ধানের তুলনায় ডায়াবেটিক ধান’এ গ্লুকোজ (মিষ্টি)’র পরিমান খানিকটা কম বলে এর ভাতে ডায়াবেটিক রোগ বিস্তার বা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

আমাদের চেষ্টায় ডুমুরিয়ায় চাষ করেই খুব ভালো ফলন হয়েছে। আগামিতে এই ক্ষেতের ধানই বীজ তৈরি করে চাষিদের মাঝে বিতরণ করা হবে। আশা করছি, ডুমুরিয়া এলাকার কৃষকরা মনজুরের সাফল্য দেখে ব্রি- ১০৫ ধান চাষে এগিয়ে আসলে তাদের ও দেশের উপকার হবে। ডুমুরিয়া উপজেলার এস পিপি ও পরানজয় বলেন ডুমুরিয়া উপজেলায় ২১হাজার ৮শত হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে।তার ভিতরে ডাইবেটিক ধানের চাষ হচ্ছে ৮৪৫ হেক্টর।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com