দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজধানীর ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ে ও কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের ঢল নামে। এ বিশাল জনসমাগমের বাস্তব চিত্রের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি ভুয়া ছবি ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে দেখা যায়, বিএনপির কিছু নেতাকর্মী ও পরিচিত ব্যক্তিত্ব এমন কিছু ছবি শেয়ার করেছেন, যেগুলোর সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির কোনো মিল নেই। এআই দিয়ে তৈরি এসব ছবিতে অতিরঞ্জিত জনসমুদ্র দেখানো হলেও সেখানে একাধিক অসংলগ্ন ও অপেশাদার ত্রুটি ধরা পড়ে।
আরো পড়ুন : তারেক রহমানের সফরসঙ্গী যারা
ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোতে মহাসড়কের দুই পাশে বস্তি এলাকার ছোট ঘর দেখা যায়, অথচ প্রকৃত সমাবেশ হয়েছে ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়েতে—যেখানে কোনো বস্তি নেই। আবার কিছু ছবিতে পুরো মঞ্চ লাল-সবুজ পতাকায় সাজানো দেখানো হলেও বাস্তবে মঞ্চের ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল সাদা কাপড়ের। ফলে বাস্তব মঞ্চের সঙ্গে এসব ছবির কোনো সামঞ্জস্য পাওয়া যায়নি।
আরও কিছু ছবিতে একটি শহুরে এলাকায় সমাবেশ দেখানো হয়, যেখানে তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার ছবির পাশে এক অপরিচিত নারীর ছবিও দেখা যায়—যা এআই-নির্মিত ছবির বৈশিষ্ট্যকেই ইঙ্গিত করে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে তিনি বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে একটি বিশেষ বাসে করে ৩০০ ফিটের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে পথে দলীয় নেতাকর্মীরা রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে তাকে স্বাগত জানান। প্রায় ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর তিনি সমাবেশের মঞ্চে পৌঁছান।
বাস্তব জনসমাগমের আবহে ভুয়া এআই ছবির বিস্তার জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য যাচাই ও দায়িত্বশীল শেয়ারিংয়ের আহ্বান জানিয়েছেন অনেকে।
https://www.kaabait.com