• মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৩
সর্বশেষ :
না.গঞ্জ সদরের রাজাপুর ঘাট ইজারা পুনঃ দরপত্র কৃষকদলের আহ্বায়ক ভাসানের উপর হা ম লাকারীর বিচারের দাবীতে মিছিল ও সমাবেশ  শ্যামনগরে বিএনপি নেতার নাম ভাঙিয়ে নদীর চর দখলের চেষ্টা, থানায় জিডি দেবহাটায় কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে দুই গ্রুপের সং ঘ র্ষ, সভাপতিসহ আহত ৩০ প্রচার মাইকের যন্ত্রণা, অটোরিকশাসহ যানবাহনের হর্ণের বিকট শব্দে নাকাল ডুমুরিয়া তালায় ফসল, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ খাতের সফল উদ্যোক্তাদের মাঝে সম্মাননা প্রদান তালা-কলারোয়ার সিংহভাগ উন্নয়ন বিএনপির আমলেই হয়েছে : হাবিবুল ইসলাম শ্যামনগরে প্রতিবন্ধীর জায়গা দ খ লের অপচেষ্টা, মা ম লা দেবহাটায় ডাঃ শহিদুল আলমের ৩১দফা বাস্তবায়নে প্রচারনা শুরু

দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার কোথাও নেই পিচের রাস্তা

এস এম মিজানুর রহমান শ্যামনগর, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি / ১৩২ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪
দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার কোথাও নেই পিচের রাস্তা

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার আয়তন ৩৩ বর্গ কিলোমিটার। এ ইউনিয়নে ৭ হাজার ৪৯১টি পরিবারের ৪৮ হাজার মানুষের বসবাস। শ্যামনাগর উপজেলার সবচেয়ে জনবহুল ইউনিয়ন হওয়া সত্ত্বেও গাবুরার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
জানা গেছে, এই ইউনিয়নে কোথাও নেই পাকা সড়ক। দু’একটি ইটের সড়ক ছিল। সেগুলোরও ইট উঠে গেছে। সেতু-কালভার্ট নেই বললেও চলে। ইউনিয়নের ১৫ গ্রামে যাতায়াতের সব রাস্তা মাটির।
ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যোগাযোগব্যবস্থা। রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ দিয়ে চলতে গেলে গা শিউরে ওঠে। এর বেশিরভাগই ভেঙে নদীতে চলে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, এখন বৃষ্টির সময় কাদামাটি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। জুতা পরে রাস্তায় চলা যায় না। উন্নয়নের কথা শুনলেও চোখে দেখি না। আমাদের রাস্তাঘাটের কোনো উন্নয়ন হয়নি।
.
৯ নম্বর সোরা গ্রামের মোহম্মদ আলী বলেন, আমাদের ইউনিয়নই মনে হয় দেশের একমাত্র ইউনিয়ন যেখানে কোনো পিচের রাস্তা নেই। বেড়িবাঁধই আমাদের প্রধান রাস্তা। তাও জরাজীর্ণ। সারাদিন বৃষ্টি হচ্ছে রাস্তায় হাটার মতো অবস্থা নেই।
একই ইউনিয়নের ডুমুরিয়ার গোলাম রব্বানী বলেন, আমাদের দুঃখ-কষ্ট, দুর্ভোগের কথা কেউ শুনে না। আমাদের ভোগান্তির কথা বলে বোঝানো যাবে না, নিজ চোখে দেখতে হবে। আমরা ঠিকমতো হাটবাজারে যেতে পারি না। আমাদের ছেলেমেয়েরা কষ্ট করে স্কুল-কলেজে যায়। এভাবে কত কাল কষ্ট করতে হবে কে জানে।
ইউনিয়নের চাঁদনিমুখা গ্রামের আব্দুল আজিজ বলেন, ২০০৯ সালে আইলার আগে কিছু পাকা রাস্তা ইটের থাকলেও আইলায় ধসে গেছে। তারপর থেকেই ভেঙে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। একটি এলাকার উন্নয়নের প্রধান শর্ত- ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। আমরা ইউনিয়নবাসী সেটি থেকে বঞ্চিত।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম বলেন, ৪৮ হাজার মানুষের বৃষ্টির মধ্যে কাদামাটি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এলাকায় রাস্তাঘাট নেই। তবে একসময় ছিল। হরিশখালি-পার্শ্বেমারী, চাঁদনিমুখা-চৌদ্দরশিতে ইটের রাস্তা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, বুলবুল ও আম্পানে গোটা ইউনিয়ন ডুবে যাওয়ায় রাস্তাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এখন চলাচলের রাস্তা নেই। ইউনিয়নের কোথাও পাকা সড়ক নেই। রাস্তাঘাট ভালো রাখতে হলে আগে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com