• সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২২
সর্বশেষ :
না.গঞ্জে আন্তর্জাতিক লেখক দিবস পালনে উদযাপন পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় বোরো রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে তরুণদের খেলার মাঠে ফেরার আহবান বকুলের শ্যামনগরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান শীতের ছুটিতে মনের প্রশান্তি দিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ থেকে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত বিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু *ঐতিহাসিক জানাজা* আগে কখনও দেখিনি ময়মনসিংহে হিন্দু যুবক হ*ত্যাকাণ্ড: গ্রেফতার ১০ নারায়ণগঞ্জ সদরে স্বাস্থ্য সহকারিদের কর্মবিরতি ২১ দিনেও প্রত্যাহার হয়নি

বই থেকে মানব চামড়ার মলাট সরিয়ে নিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিনিধি: / ২৮৮ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

বিদেশ : ১৯ শতকের একটি বইয়ের মলাট বাঁধাই করা হয়েছিল মানুষের চামড়া দিয়ে। ২০১৪ সালে বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেন, বইটিতে আসলেই মানুষের চামড়ার মলাট ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৯৩০-এর দশক থেকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হাফটন লাইব্রেরিতে রয়েছে ‘দে দেসতিনে দো লামো (ডেসটিসিজ অব দ্য সোল)’ শীর্ষক বইটি।  হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা দিয়েছে, বইয়ের উৎপত্তি ও পরবর্তী ইতিহাসের নৈতিকভাবে বিতর্কিত প্রকৃতির কারণে তারা ওই মলাট খুলে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই গ্রন্থাগারে ৯০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাখা ছিল বইটি। ১৮৮০-এর দশকে আর্সিন হুসে আত্মা ও মৃত্যু-পরবর্তী জীবন নিয়ে মেডিটেশন বিষয়ক বই ‘দে দেসতিনে দো লামো’ লিখেছিলেন। তিনি বইটি তার ডাক্তার বন্ধু লুডোভিক বোল্যান্ডকে দিয়েছিলেন বলে কথিত আছে। তিনিই মানুষের চমড়া দিয়ে বইটি বাঁধাই করেছিলেন। প্রাকৃতিক কারণে মারা যাওয়া এক নারী রোগীর শরীরের চামড়া দিয়ে বইটি বাঁধাই করেছিলেন। ওই নারীর লাশের কেউ দাবিদার ছিল না। ১৯৩৪ সালে হার্ভার্ডে আনা হয় দে দেসতিনে দো লামে’। তখন এই বইয়ের সঙ্গে ছিল চিকিৎসক বুলান্ডের একটি চিরকুট। সেখানে লেখা ছিল, ‘মানব আত্মা নিয়ে লেখা একটি বইয়ে মানব মলাট থাকাটাই উপযুক্ত।’ বই থেকে খুলে নেওয়া মানব দেহাবশেষটির সম্মানজনক ব্যবস্থা করতে চায় বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ ছাড়া অজ্ঞাত ওই নারীর জীবন নিয়েও গবেষণা করছে হাফটন লাইব্রেরি। বোল্যান্ড লিখেছিলেন, ষোড়শ শতাব্দী থেকে ‘এনথ্রোপোডার্মিক’ শব্দটি বেশ প্রচলিত, যার অর্থ হচ্ছে মানুষের চামড়া দিয়ে বইয়ের মলাট করা। ওই শতকে এর প্রচলন ছিল। তখন কেউ অপরাধ করলে তার চামড়ায় তা লিখে দেওয়া হতো। অনেক সময় কেউ কেউ মরে যাওয়ার পর তার চামড়া দিয়ে বইয়ের মলাট বানিয়ে তাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের অনুরোধও করে যেতেন। ১৯ শতকের অসংখ্য বিবরণ রয়েছে, মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অপরাধীদের মৃতদেহ বিজ্ঞানকে দান করা হয়েছিল। তাদের চামড়া পরে যারা বই বাঁধাই করে তাদের দেওয়া হয়েছিল। সূত্র : বিবিসি


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com