• রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০১:৪০
সর্বশেষ :
শ্যামনগরে প্রতিবন্ধীর জায়গা দ খ লের অপচেষ্টা, মা ম লা দেবহাটায় ডাঃ শহিদুল আলমের ৩১দফা বাস্তবায়নে প্রচারনা শুরু মণিরামপুরের যমযমিয়া দাখিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি মনোনয়নকে কেন্দ্র করে তোপের মুখে সুপার খেশরায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ বিএনপি মাটি ও মানুষের দল, নেতা নির্ভর দল নয়- নিতাই রায় চৌধুরী বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে: ডা. শহিদুল আলম তালায় সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলামের অংশগ্রহণে জগন্নাথ রথযাত্রা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অবৈধ ইটের পাঁজায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডোপ টেস্ট করা হবে–জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা

লো প্রেশার এর লক্ষন,কারণ ও প্রতিকার

প্রতিনিধি: / ২৪৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

স্বাস্থ্য: উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের সমস্যা যেমন সত্যিই চিন্তার কারণ, চিকিৎসকরা বলছেন ঠিক তেমনই লো-প্রেশার বা হাইপোটেনশনের ফলেও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা রোগ। মেডিকেল সায়েন্স অনুসারে ১২০/৮০ হল নরমাল প্রেশার। এই প্রেশার যখন কমে ৯০/৬০ হয় তখন তাকে লো-প্রেশার বা হাইপোটেনশন বলা হয়। লো-প্রেশার সেই অর্থে নিজে কোনো ভয়ঙ্কর বড় সমস্যা না হলেও, এর প্রভাবে শরীরের অন্যান্য কমজোরি বা অসুখ আচমকা বেড়ে যেতে পারে। তাই সময় থাকতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অনেকের ক্ষেত্রেই লো-প্রেশার কোনো সমস্যা তৈরি করে না। তবে কিছু লোকের ক্ষেত্রে মারাত্মক ভাবে শরীর দুর্বল করে দেয়।
লো-প্রেশারের লক্ষণ:
যাঁদের প্রেশার লো তাঁরা অনেক ক্ষেত্রেই বেশ দুর্বল হন। সবসময় মাথায় ঝিম ধরা ভাব, ক্লান্ত-অবসন্ন শরীর, আচমকা মাথা ঘুরে যাওয়া, চোখের সামনে হঠাৎই অন্ধকার দেখা এইসব সমস্যা হয়ে থাকে। আচমকা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার প্রবণতাও থাকে।
গা-গোলানো বা বমি পাওয়ার ভাব থাকলে লো-প্রেশারের কারণে।
সবসময় জল তেষ্টা পায়। গলা-ঠোঁট শুকিয়ে থাকে।
কোন কোন সময় আচমকা প্রেশার নেমে যেতে পারে:
হঠাৎ কোনো শক পেলে, ট্রমায় চলে গেলে বা রক্তক্ষরণ দেখলে প্রেশার ফল করতে পারে অর্থাৎ একধাক্কায় অনেকটা কমে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সঠিক ভাবে রক্ত সঞ্চালন হয় না। এর জেরে বড় বিপদ হতে পারে। অন্তঃসত্ত¡া থাকাকালীন প্রথম ২৪ সপ্তাহ মহিলাদের প্রেশার কমে যায়। পরে অবশ্য তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। হার্টের সমস্যা থাকলে, হার্ট অ্যাটাক হলেও প্রেশার আচমকা কমে যেতে পারে। শরীরে জল কমে গেলে অর্থাৎ ডিহাইড্রেশন হয়ে গেলে প্রেশার কমে যায়। সাধারণ জ¦র হলে, পেটের সমস্যায় কিংবা একাধিক বার বমি হলে বা ডায়রিয়া জাতীয় সমস্যায় প্রেশার কমে যায়।
দীর্ঘক্ষণ ওয়ার্ক-আউট করলেও প্রেশার ফল করতে পারে।
এছাড়া খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, অপুষ্টি, ভিটামিনের অভাব এবং ভুল ওষুধ বা অনেকদিন টানা এক ওষুধ খাওয়ার ফলেও প্রেশার কমতে পারে।
সাবধান হতে কী কী করবেন: প্রথমে চিন্তা দূর করুন। মানসিক ট্রমা কাটিয়ে শান্তিতে থাকার চেষ্টা করুন। উচাটন কমান। এ ক্ষেত্রে রোগীর আশেপাশের লোকেদেরও খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনো কারণেই রোগীর মানসিক শান্তি বিঘিœত না হয়। শান্ত পরিবেশে থাকতে হবে। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করুন। প্রয়োজনে ওষুধ খাবেন, তবে সেটা ডাক্তারের পরামর্শে। শরীরে লবণের পরিমাণ বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে কিনা তা জেনে নিন চিকিৎসকের কাছ থেকে। খুব বেশি দৌড়ঝাঁপ না করাই ভাল। খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়াবেন না। কখনই একটানা দাঁড়িয়ে থাকবেন না। মাঝে মাঝে বসে বিশ্রাম নিন।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com