• শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:২৬
সর্বশেষ :
দেবহাটা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় সভা শ্যামনগগরে ফ্রেন্ডলি ব্যাকআপ টিমের র ক্ত পরিক্ষা কর্মসূচী খুলনা-৫ আসনে হতে পারে হাই ভোল্টেজের ল ড়া ই সুন্দরবনের মামুদা নদী সংলগ্ন এলাকায় একনলা বন্দু কসহ ২রাউন্ড তাজা কা র্তুজ উদ্ধার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মনজুরের ডুমুরিয়ার কাইনমারা ও ঘুরুনিয়া মাইক্রো ওয়াটারশেড পরিদর্শন পরলোকে সাংবাদিক সামাদ মতিন’র সহধর্মিণী এড. সুরাইয়া মতিন শ্যামনগরের হরিনগর প্যান্ডামিক ফিসারিস প্রজেক্ট দ খ লকারীদের বি*রুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন তালায় ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন খুলনার ভিডিও নিয়ে শ্যামনগরে চিকিৎসকদের নামে অপ-প্রচার সাতক্ষীরার আলোচিত জনপদ খলিশাখালিতে পুলিশ ফাঁড়ি’র দাবী

শ্যামনগরের হরিনগর প্যান্ডামিক ফিসারিস প্রজেক্ট দ খ লকারীদের বি*রুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

এস এম মিজানুর রহমান, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি / ৩৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নে হরিনগর বাজার সংলগ্ন”প্যান্ডামিক ফিসারিস লিঃ” নামীয় প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ দখল মুক্ত করতে ও আসামীদের বা দুষ্কৃতিকারীদের আইনী আওতায় আনতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

৩০ জুলাই ( বুধবার) বেলা ১১টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ও প্যান্ডামিক ফিসারিস লিঃ নামীয় প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মোঃ আব্দুল্যাহ আল-কাইয়ুম।

 

তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তরুণ উদ্যক্তা হতে অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠানে তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ বেতনভূক্ত ম্যানেজার হিসেবে চাকুরী করে আসছি।

 

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এ, এম সাইদুর রহমান ৩১২ জন ভূমি মালিকের কাছ থেকে ১৫ বছর (৩১ জুলাই ২০২০ থেকে ৩০ জুলাই ২০৩৫ সাল পর্যন্ত) ডিড লিজ নিয়ে ১ হাজারের উর্ধদ্ধে জমি নিয়ে প্যান্ডামিক ফিসারিস লিঃ” প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব বিনিয়োগ ছাড়াও এন আরবিসি ব্যাংক থেকে ১৬ কোটি টাকা লোন নিয়ে কাজ চলমান রযেছে। জমির মালিকদের লীজ ডিডের শর্তানুযাী নিয়মিত হারীর টাকা পরিশোধ করে এ প্রকল্পটির ব্যবসা পরিচালনা করছেন। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকের নিকট দায়বদ্ধ আছে। লিজ ডিডের শর্তানুযায়ী নিয়মিত হারীর টাকা দেয়া হয়েছে এবং ২০২৫ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত জমির হারীর টাকা এক বছর পূর্বেই পরিশোধ করা হয়েছে।

 

গত ২ মাস ধরে ২০২৬ সালের হারীর দেওয়া শুরু করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ লক্ষ হারীর টাকা দেয়া হয়েছে এবং অব‍্যহত রয়েছে। তিন কোটি টাকা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় মুন্সিগঞ্জ সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান- ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগে যোগদানকারী আবুল কাশেম মোড়ল ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাবেক নেতা মরহুম আব্দুস সাত্তার মোড়লের পুত্র সালাউদ্দিন শাওন সহ তার সহযোগীরা প্রকল্পটি দখলের পায়তারা করে। এ কর্মকাণ্ডের জন্য ইতোপূর্বে ওসি ও ইউএনও , জেলা প্রশাসক ও এসপি বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে। শ্যামনগর থানায় জি, ডি, নং-৮৫,তাং ০২/৭/২০২৫। এ ধরনের প্রকল্পে অনেক টাকা বিনিয়োগ করতে দীর্ঘ মেয়াদি লীজ নিতে হয়। এ প্রকল্পটিও ৩১ জুলাই ২০২০ থেকে ৩০জুলাই ২০৩৫ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে লিজ নিয়ে ২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। কাশেম মোড়ল, শাওন তার সহযোগিরা ৩ কোটি টাকা চাঁদা দাবী করে। তা না দেওয়া অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে প্রকল্পটি দখলে নেয়। ২০২৫ – ২০২৬ এর হারীর টাকা দেওয়া শুরু করলে বিভিন্ন ভাবে বাধা সৃষ্টি করে।

 

কাশেম মোড়ল, শাওনসহ তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা নীরিহ ভুমি মালিকদের ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করে লীজ বাতিল করে মেয়াদ কালিন ৩৫ সাল পর্যন্ত কোন বাধা সৃষ্টি করতে যাতে না পারে এবং বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রকল্পটি অবৈধভাবে দখল করতে না পারে তা রুখতে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে কাশেম, শাওনসহ অন‍্যনাদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা করা হয়। যার মামলা নং ৭৫, তাং ০২/৭/২০২৫।

 

তারা আইন অমান্য করে বেপরোয়া হয়ে গত ১৬/০৭/২০২৫ তারিখ থেকে ১৯/ ৭/২০২৫ তারিখ পর্যন্ত দফায় দফায় আবুল কাশেম মোড়ল ও শাওনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী ও ভাড়াটিয়া লোক জন নিয়ে প্রজেক্টটিতে হামলা করে লুটপাট, ভাংচুর ও ১০/১২ কোটি টাকার মাছ লুটপাট করতে থাকে। ২০টি গ্রুপ দিয়ে ঐ প্রজেক্টের ১৮০টি পুকুরের মধ্যে আনুমানিক শতাধিক পুকুরে বেড় জাল ও খেপলা জাল ফেলে বিভিন্ন প্রজাতির উৎপাদিত মাছ মূল্য প্রায় ১০/১২ কোটি টাকাসহ প্রায় আরো ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট বা ক্ষতিসাধন করেছে। প্রজেক্টির সাইড ম্যানেজার আলমগীর কবির এ ঘটনায় তাদের সহ ৩০ জন কে নামীয় এবং ৭০/৮০ জন অজ্ঞাত আসামী করে শ্যামনগর থানায় মামলা করেন। মামলা নং ২৪,তাং ১৬/৭/২০২৫।

 

এ মামলার আসামীরা অনেকেই জামিন না নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তারা বর্তমানে অবৈধভাবে প্রজেক্ট দখলে রেখে উৎপাদিত মাছ লুটপাট অব্যহত রেখেছে।

 

থানা পুলিশ ৪বার ও সেনাবাহিনী সদস্যরা ৩ বার ঘটনাস্থলে গিয়েছে। কিন্তু তারা চলে আসার পর আবার হামলা ও লুটপাট করে। এটি শুধু মাত্র প‍্যান্ডামিক ফিসারিজের বিরুদ্ধে শুধু ষড়যন্ত্র নয়, বরং সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে। কাইয়ুমের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করতে এবং লাভ লোভের বসবতী হয়ে প্রজেক্ট দখল রাখতে পরিকল্পিত ভাবে তাকে দূরে রাখতে অপচেষ্টা করে একের পর এক বিভ্রান্তি কর মিথ্যা দিয়ে তাকে ( প্রজেক্ট চেয়ারম্যান সহ) মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে প্রজেক্ট অবৈধ দখল মুক্ত করতে ও আসামীদের বা দুষ্কৃতিকারীদের আইনী আওতায় আনতে আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে যথযথ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com