শ্যামনগর সুন্দরবন উপকূলীয় কাচামাছ শুকানো খটি গুলিতে পুড়ানো হচ্ছে কাঠ। অথচ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে নেই কোন আইনগত ব্যবস্থা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন উপকূলীয় জনবসতি এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে মাছ শুকানোর খটি।
সরকারি নীতিবালা অনুযায়ী সুন্দরবন থেকে ১০ কিলোমিটার এর মধ্যে কোন প্রকার মাছ শুকানোর খটি থাকা সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে নীরব। এ সমস্ত খটি গুলোতে পোড়ানো হয় সুন্দরবনের ও লোকালয়ের বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ। বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে গোপাল মোড়ে অবিনাস ও তরুন এর খটি, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের টেংরাখালীতে নুরনগরে শুকুমার, মনসুর সরদার গ্যারেজে চিত্ত,নওয়াবেকী নন্দী,চুনকুড়িতে আব্দুল মজিদ, গাবুরা ইউনিয়ে নদীর পাড়ে,ভেটখালী বাজারে, ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের শ্রীফলকাটির বকুলতলার পাশে লোকালয়ে নূর আফসার খার ছেলে সাইদুল এর খটিতে কাঠ দ্বারা শুকানো হচ্ছে চিংড়ী মাছ। এতে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এছাড়া লোকালয়ের মধ্যে কাঠ দিয়ে কাঁচা মাছ শুকানোর কারণে শিশু বাচ্চারা ও বয়স্ক মানুষের শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।
অনুসন্ধান আরো জানা গেছে, সুন্দরবন উপকূলী এলাকায় খটি গুলোতে বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাসোয়ারা নেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষণ মোঃ মশিউর রহমান বলেন সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে আমি ব্যবস্থা নিব। পরিবেশের ক্ষতি করে কোন মাছের খটি চালাতে দেওয়া যাবে না।
শ্যামনগর সহকারি কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
https://www.kaabait.com